পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন্মত-রহস্য ত্ৰিশ বৎসরের বেশী নহে। অপর লোকটি একজন সাহেব, নাম মিঃ বেণ্টউড। বেণ্টউডের বয়ঃক্রম চল্লিশ বৎসর হইলেও তঁহার মুখমণ্ডল যৌবনশ্ৰীযুক্ত। দেহ দীর্ঘ, সবল, সুস্থ, পরিষ্কৃত। তঁহার দৃষ্টি, মুখ এবং মুখভাবের উপর যেন একটি ছদ্ম আবরণ সংলগ্ন আছে, এপৰ্যন্ত একবার ও তাহা উন্মুক্ত করা হয় নাই, সুতরাং সে আবরণের স্থায়িত্ব সম্বন্ধে কেহ কখনও কোন সন্দেহ করিতে পারিত না । বরাবর এক ভাবেই লোকে তঁহাকে দেখিয়া আসিতেছে। ‘চক্ষু হৃদয়ের দর্পণ স্বরূপ” কথাটা এখানে একেবারেই খাটে না। যাহা হউক এই বণ্টউড সাহেব একজন উত্তম চিকিৎসক। স্বীয় পারদর্শিতায় তিনি অতি অল্প সময়ে সৰ্ব্বত্ৰ প্ৰসিদ্ধি ও যশঃ আশাতীতরূপে অর্জন করিয়াছিলেন । দত্ত সাহেব ও বেণ্টউড উভয়ের মধ্যে খুব বন্ধুত্ব। অবসর পাইলেই বেণ্টউড, দত্ত সাহেবের উদ্যান-বাটীকায় আসিয়া প্রচুর চা, চুরুট ও বিস্কুট উপভোগ করিতেন। এবং সেই উপভোগের সময় উভয়ে মিলিয়া অত্যন্ত উৎসাহের সহিত হাস্য পরিহাস ও বিদ্রুপ কৌতুকে মনোনিবেশ করিতেন । अख७ bा'द्र अडांद नाई-फूलूश्रद्ध अडांद नाई-दिलूब्रि अडांव নাই-সুতরাং বাধাশূন্য গল্পস্রোতঃ হাস্যকলনাদে খরতার বেগে বাহিতেছে । অমরেন্দ্ৰনাথ একখানি ইংরাজী সংবাদ-পত্ৰ লইয়া পাঠ করিতেছিলেন। সুরেন্দ্রনাথ একদৃষ্টি বেণ্টউডের গল্পকালীন, মুখের ভাবভঙ্গি অনন্যমনে কৌতুকাবিষ্টচিত্তে দেখিতেছিলেন। বেণ্টউডও এক একবার সুরেন্দ্রনাথের মুখের দিকে তীক্ষদৃষ্টিতে চাহিতেছিলেন। বেণ্টউডের এইরূপ বারংবার তীক্ষ্মদৃষ্টিপাতে সুরেন্দ্রনাথ মৃদুহাস্তের সহিক্ত