পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Şა ხ & জীবন্মত-রহস্য আশানুল্লা কিছু বিরক্তভাবে বলিল, “আমি ত আপনাকে তখন থেকে বলিতেছি যে, মিস সেলিনাদের বাগানের গেটের কাছে কুড়াইয়া পাইয়াছি।” দত্ত সাহেব জিজ্ঞাসা করিলেন, “গেটের কোথায়, ভিতরে না বাহিরে ?” আশানুল্লা বলিল, “ভিতরে। সেলিনারা কিছু খাবার দিবার জন্য আমাকে ডেকেছিল । যখন আমি খাবার নিয়ে তাদের বাড়ীর ভিতর হইতে বাহিরে আসি, তখন দেখি গেটের কাছে সেই ঘাসবনের ভিতরে [ বিষ-গুপ্তির প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া ] ইহা পড়িয়া রহিয়াছে। সুৰ্য্যের আলোকে ঝক ঝকা করিয়া ঐ সব কাচগুলা জ্বলিতেছে। চারিদিকে একেবারে চাহিয়া দেখি, কেউ কোথায় নাই—অমনি চুপি চুপি কাপড় ঢাকা দিয়া এটা বাহির করিয়া নিয়া আসি, একেবারে বেমালুম চুরি।” আশানুল্লা যেরূপ সরলভাবে প্রশ্নের উত্তর করিতে লাগিল, তাহাতে দত্ত সাহেব তাহাকে নির্দোষ বলিয়া বুঝিতে পারিলেন। দেখিলেন তাহার সত্য গোপন করিবার চেষ্টা আদৌ নাই—এবং তাহার কারণও কিছুমাত্ৰ নাই। বিশেষতঃ সে গাজা গুলি খাইয়া নিজের বুদ্ধিবৃত্তি একেবারে নষ্ট করিয়া ফেলিয়াছে ; তাহা ছাড়া অন্নাভাবে তাহার দুর্বল শরীরের অবস্থা যেরূপ শোচনীয়, তাহাতে তাহার হাতে বিষ-গুপ্তি কেন, আরও যে কোন সাংঘাতিক অস্ত্র থাক, সে যে সুরেন্দ্ৰনাথের ন্যায়। একজন বলিষ্ঠ যুবককে আক্রমণ করিতে সাহস করিবে, ইহা কখনই সম্ভবপর হইতে পারে না। তখন দত্ত সাহেবের সম্পূর্ণ সন্দেহ জুলেখার উপরে নিহিত হইতে লাগিল। তিনি ভাবিতে লাগিলেন, বিষ-গুপ্তির বিষ একবারে শুখাইয়া গিয়াছিল, জুলেখা পুনরায় নূতন বিষ তৈয়ারি করিয়া বিষগুপ্তিতে ঢালিয়াছে। সে ছাড়া যখন এখানে আর কেহ এই বিষ তৈয়ারি করিতে জানে না, তখন এ সকল তাহারই কাজ ।