পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হত্যাকারী কে ? S9, চয়, সেইজন্য বেণ্টউড করকোষ্ঠী গণনার ছলে তাহাকে সাবধান করিয়া দিয়াছিল। এমন কি ইহার পর বেণ্টউড এই হত্যাকাণ্ড সহজে মাধ্যা করিবার অভিপ্ৰায়ে দুই একবার এই বিষ-গুপ্তি আমার নিকট হইতে ক্রিয় করিবার প্রস্তাবও করিয়াছিল। আমিনা । [ সাশ্চর্য্যে ] কি সৰ্ব্বনাশ ! তিনি এই বিষ-গুপ্তি আপনার নিকট হইতে কিনিতেও চাহিয়াছিলেন ? দত্ত। হঁ, আমি একেবারে অস্বীকার করায় অনন্যেপায় হইয়া নারকী শেষে চুরি করিয়া লইতে কুষ্ঠিত হয় নাই। আমিন। তিনি যে চুরি করিয়াছেন, তাহার প্রমাণ কি ? দত্ত। প্রমাণ সহজেই হইবে। তুমি এইমাত্র আশানুল্লার মুখে শুনিলে সে ডাক্তার বেণ্টউডের নিকট হইতে এই বিষ-গুপ্তির সংবাদ লইয়া জুলেখাকে বলে। কি কারণে কেহ জানে না, জুলেখার উপর ডাক্তার বেণ্টউডের একটা খুব প্ৰবল প্ৰভুত্ব আছে, জুলেখাও তাঁহাকে অত্যন্ত ভয় করে। সে নিশ্চয়ই বেণ্টউডের অভিপ্ৰায় অনুসারে এই বিষ-গুপ্তি চুরি করিয়াছে, ইহাতে নূতন বিষ তৈয়ারি করিয়া ঢালিয়াছে। তাহার পর এই বিষ-গুপ্তি লইয়া বেণ্টউড সুরেন্দ্রনাথকে হত্যা করিয়াছে। ইহাতে আর কোন সন্দেহ নাই। নিজে বেণ্টউডই সুরেন্দ্ৰনাথের প্রকৃত হত্যকারী। আমিনা । আপনি অনুমানের উপর নির্ভর করিয়া তাহাকে হত্যাপরাধে ফেলিতেছেন। প্ৰমাণ চাই। দ। প্ৰমাণ সংগ্ৰহ হইবে। আ । সহজে হইবে না । দ। সে কথা সত্য। কারণ, বেণ্টউড সহজ লোক নহে। যখন আমি নিজে সুরেন্দ্রনাথের খুনীর অনুসন্ধান কাৰ্য্যে হস্তক্ষেপ করি, তখনই