পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ দত্ত সাহেব স্বয়ং ডিটেকটিভ অমরেন্দ্রনাথের অপ্রত্যাশিতপূৰ্ব্ব আচরণে দত্ত সাহেবের মন যথেষ্ট ব্যথিত এবং মস্তিষ্ক অত্যন্ত বিচঞ্চল হইয়া উঠিয়াছিল। এ পৰ্যন্ত তিনি সরলভাবে অমরকে খুব সরল বোধ করিয়া আসিতেছেন, কিন্তু এখনকার অমরের এইরূপ বিসদৃশ ব্যবহারে তঁহার হৃদয়ে সে ভাব আর স্থান পাইল না। দত্ত সাহেব চিন্তা করিতে লাগিলেন, “অমরেন্দ্ৰ এই হত্যাকাণ্ডের অবশ্যই কিছুনা-কিছু অবগত আছে ; কিন্তু কেন সে কিছুতেই সে কথা প্ৰকাশ করিতে চাহে না ? এমন কি আমার কাছেও প্ৰাণপণে গোপন করি।-- তেছে। অমরও কি পিশাচ বেণ্টউডের ষড়যন্ত্রপূর্ণ ফাঁদে পা দিয়াছে ? কে জানে।” ভাবিয়া ভাবিয়া দৃত্ত সাহেব তঁহার এই সকল প্রশ্নের কোন সদুত্তর ঠিক করিতে পারিলেন না। পরিশেষে চিন্তাবসন্ন বিরক্তচিত্তে ও সকল চিন্তা মন হইতে অনেক কষ্টে দূরীকৃত করিলেন। রহিমের কাহিনীতে যদি এই সকল রহস্যান্ধকারাচ্ছন্ন দুর্ঘটনার কোন অংশ কিছু পরিষ্কার হয়, এইরূপ আশা করিয়া দত্ত সাহেব সাগ্ৰহপাদবিক্ষেপে রচিমেব ঘরে গিয়া উপস্থিত হইলেন। দেখিলেন, রহিমের মোহ অপনীত হইয়াছে ; এবং দীর্ঘকাল নির্বিঘ্ৰে নিদ্রাভোগে সে পূৰ্ব্বাপেক্ষা অনেকটা প্ৰকৃতিস্থ হইতে পারিয়াছে। গোফুরের মা শয্যার একপাশ্বে বসিয়াছিল। দত্ত সাহেবের ইঙ্গিতে সে সত্বর উঠিয়া গেল। দত্ত সাহেব রহিমকে নির্জনে পাইয়া অবিলম্বে একেবারে কাজের কথা পাড়িলেন। বলিলেন, “রহিম, বোধ করি, আগেকার অপেক্ষা এখন অনেক সুস্থ আছ ?”