পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জুলেখা-বিভ্ৰাট 之●> রুমালাদি সংক্রান্ত কোন প্রসঙ্গের কোন উত্থাপন না করিয়া জুলেখার সম্বন্ধে সমুদয় কথা তাহাকে বুঝাইয়া বলিতে লাগিলেন। জুলেখা স্থিরভাবে দাড়াইয়া সকলই শুনিয়া যাইতে লাগিল; সে আর চীৎকার করিয়া উঠিল না, অথবা সে দত্ত সাহেবের বাচ্যমান কোন কথার প্ৰতিবাদের চেষ্টা করিল না । নবম পরিচ্ছেদ জুলেখা-ৰিত্ৰাটে স্থিরচিত্তে সমুদয় শুনিয়া সেলিনার মাতা একবার দীননেত্ৰে জুলেখার মুথের দিকে চাহিলেন। তাহার পর দত্ত সাহেবের দিকে ফিরিয়া কহিলেক, “কেমন করিয়া হইবে ? আপনি যাহা বলিতেছেন, তাহা একেবারে অসম্ভব ।” একান্ত উত্তেজিতভাবে দত্ত সাহেব উঠতে উঠিতে—বসিয়া বলিলেম, “কিসে অসম্ভব। আপনার জুলেখাতে সকলই সম্ভব। আমি আপনাকে যে সকল কথা বলিলাম, তাহার একটি বর্ণও মিথ্যা নহে। জুলেখাকে বড় সহজ মনে করিবেন না। বিষাক্ত রুমালের দ্বারা জুলেখা যে, রহ্মিকে অজ্ঞান করিয়াছিল, তাহা আপনি রহিমের মুখে স্পষ্ট শুনিলে তখন আর অবিশ্বাস করিতে পরিবেন না ।” সেলিনার মাতা জুলেখার দিকে ফিরিয়া ক্ৰোধকম্পিত উচ্চকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন, “জুলেখা, এ সকল কি সত্য ? ঠিক করিয়া বল।” জুলেখা একবার মুখ তুলিয়া প্ৰশ্নকত্রীর মুখের দিকে চাহিল। কি উত্তর করিবে, স্থির করিতে না পারিয়া, পুনরায় পূর্ববৎ নতমুখে রহিল।