পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अङ्छ १iडौन्न ठूछ्रेल ROC নিতান্ত হতাশভাবে মিসেস মারুশন চেয়ারের উপর হেলিয়া পড়িলেন। তৎক্ষণাৎ তাহার মুখ মৃত্যুবিবর্ণীকৃত হইয়া গেল। তিনি সভয়ে চক্ষু মুদিত করিলেন । ” সহসা মিসেস মারুশনের এরূপ ভাব-বৈলক্ষণ্যে জুলেখা তঁহার সুতরল কৃষ্ণহাস্তের তরঙ্গ তুলিয়া উচ্চকণ্ঠে বারিত্রয় বলিল, “টম্বরু-টম্বরুটম্বরু।” দত্ত সাহেব অবিচলিতস্বরে জুলেখাকে কহিলেন, “টম্বরু হইতে তোর পয়গম্বর সাহেবের কোন উপকার হইবে না । আমাদের এ দেশে টম্বরু কঁাউরূপীর কোন বুজরুকী কিছুমাত্র খাটিবে না। দেখি, এবার তোকে কোন টম্বরু রক্ষা করে!” সভয়ে মিসেস মার্শন কহিলেন, “আপনি কি আমাদের জুলেখাকেও পুলিসের হাতে দিবেন ?”) দত্ত সাহেব কহিলেন, “নিশ্চয়ই।” মিসেস মারুশন কহিলেন, “কেন ? জুলেখা ত সুরেন্দ্রনাথকে খুন করে নাই।” দত্ত সাহেব কহিলেন, “না করিলেও খুনীর সহায়তা করিয়াছে। জুলেখা নিজ মুখে নিজের অপরাধ স্বীকার করিয়াছে।” “কি ভয়ানক । সকল দিকেই সর্বনাশ বঁধিয়া গেল,” বলিয়া একান্ত কাতরভাবে মিসেস মারুশন এক দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া চক্ষুঃ নিমীলিত করিলেন । দত্ত সাহেব কহিলেন, “কেবল জুলেখার জন্যই কি আপনি এত কাতর হইতেছেন ?” “না,” বলিয়া মিসেস মারুশন আরও কি বলিতে যাইতেছিলেন, জুলেখার ইঙ্গিতে সহসা তিনি নিরস্ত হইলেন।