পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘটনা-বৈষম্য S দত্ত সাহেব সেলিনার মুখের উপরে প্রশংসমান দৃষ্টি স্থাপন করিয়া কহিলেন, “হা, সেজন্য আমি কিছুমাত্ৰ দুঃখিত নহি, বরং সুখী হইলাম। তোমার নিকটে আমার আর একটি কথা জিজ্ঞাস্য আছে। লাস চুরীর সেই ভয়ানক রাত্ৰে, তেমন দুৰ্যোগ মাথায় করিয়া একাকী তুমি সেরূপ উন্মত্তভাবে আমাদের বাড়ীতে কেন গিয়াছিলে ? অবশ্যই তাহার কোন একটা কারণ থাকিবার কথা ।” সে । হঁয়, সেদিন আমার মনের ঠিক ছিল না ; তাহা না থাকিলেও সে রাত্রে জুলেখাকে আমাদের বাড়ীতে না দেখিয়া আমার বড় ভয় হইয়াছিল যে, সে আবার একটা কি কাণ্ড ঘটাইতে বাহির হইয়াছে। দত্ত। সেদিন রাত্রে কি জুলেখা তোমাদের বাড়ীতে ছিল না ? সে। না, পূর্বেই আপনাকে বলিয়াছি, সেদিন আমি পীড়িত হইয়া বিছানায় পড়িয়া ছিলাম। মা আমার বিছানায় বসিয়া আমার মাথায় ধীরে ধীরে পাখার বাতাস করিতেছিলেন । আমার অসুখ হইলে জুলেখা প্রায় আমাকে ছাড়িয়ু কোথায় থাকে না—সতত আমার কাছেই থাকে ; কিন্তু সেদিন তাহাকে আমার ঘরে না দেখিয়া আমার মনে বড় ভয় হইল। আমি মাকে জুলেখার কথা জিজ্ঞাসা করিলাম। মা বলিলেন, সে আজ আসিবে না, বলিয়া গিয়াছে। শুনিয়া আমি আরও ভয় পাইলাম। বুঝিলাম, জুলেখার আজও একটা কোনও ভয়ানক উদ্দেশ্য আছে। তখন বাহিরে সন্ধ্যার অন্ধকারের ন্যায় আমার মনেও নানা বিভীষিকা ক্ৰমে ক্রমে ঘনাইয়া আসিতে লাগিল। আমি অত্যন্ত অস্থির হইয়া উঠিলাম।