পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাব-বৈষম্য NY kaip u. r লাগিলাম। তাহার পর রাত দুইটা বাজিয়া গেল, তখনও আমি জাগিয়া তখনও জুলেখা ফিরিল না। তখন আমি নিঃসন্দেহ হইতে পারিলাম যে, অবশ্যই কোন-একটা ভয়ানক দুরভিসন্ধিতে জুলেখা এত রাত পৰ্যন্ত বাহিরে ঘুরিতেছে। অনেক রাত অবধি জাগিয়া মা তখন ঘুমাইয়া পড়িয়াছিলেন । মনের নিদারুণ উদ্বেগে আমি ঘর হইতে বাহিরে আসিলাম। বাহিরে বারান্দায় বসিলাম, সেই নির্জনে কত রকম দুশ্চিন্তা যেন সজীব হইয়া আমার চক্ষের সম্মুখে ঘুরিতে লাগিল। আমি উন্মত্তের মত হইয়া উঠিলাম। ছুটিয়া তখনই আপনার বাড়ীর দিকে চলিলাম। তাহার পর যাহা ঘটিয়াছে, আপনি সকলই জানেন । দত্ত। হাঁ, সকলই জানি। জুলেখার সহায়তায় বেণ্টউড যে লাস চুরী করিয়াছে, তাহা নিশ্চিত। কিন্তু বলিতে পার, সেলিনা ইহাতে তাহাদের কোন অভিপ্ৰায় সিদ্ধ হইবে ? সে। তাহারাই জানে। আমি যাহা জানি, সকলই আপনাকে বলিলাম। এখন আপনি কি করিবেন, স্থির করিয়াছেন ? দত্ত। ডাক্তার বেণ্টউডের সঙ্গে একবার দেখা করিতে হইবে। বোধ করি, এতক্ষণ সে আমাদের বাড়ীতে আসিয়াছে। সে । [সবিস্ময়ে ] বেণ্টউড। আপনাদের বাড়ীতে । দত্ত। হা, আমি বেণ্টউড ও ইনস্পেক্টর গঙ্গারামকে আসিতে লিখিয়াছি। ইচ্ছা আছে, আজই সুরেন্দ্রনাথের হত্যাপরাধে বেণ্টউডকে পুলিসের হাতে সমৰ্পণ করিব। সে। আর জুলেখাকে ? দত্ত সাহেব পকেট হইতে ঘড়ী বাহির করিয়া দেখিলেন। বলিলেন, “না। আপাততঃ তাহাকে পুলিসের হাতে ফেলিবার কোন প্রয়োজন দেখি না । সে সহজে এখান হইতে পলাইতে পারিবে না।”