পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৫৯

G. MOR জীবন্মত-রহস্য মানহাস্তের সহিত বেণ্টউড কহিলেন, “অথবা তাহার প্রণয়ীকে হত্যা করিতে। ইহাও এই সঙ্গে বলুন।” দত্ত সাহেব সে কথায় কৰ্ণপাত না করিয়া গম্ভীর মুখে কহিলেন, “তাহার পর আপনি জানিতে পারিলেন, সেই সেলিনার অনুরাগী সুরেন্দ্ৰনাথ ।” বেণ্টউড কহিলেন, “কেবল সুরেন্দ্রনাথ কেন, অমরেন্দ্রনাথও সেই সেলিনার অনুরাগী।” দত্ত সাহেব কহিলেন, “সে কথা পরে হইতেছে। আপনিও নিজে সেলিনার অনুরাগী ; সুতরাং সুরেন্দ্ৰনাথ আপনার অন্তরায়, সেই অন্তরায় দুৱা করিতে, আপনার অভীষ্টসিদ্ধির জন্য আপনি আমাদের অপহৃত বিষগুপ্তি হস্তগত করেন।” বেণ্ট। বটে, বটে। কাহার দ্বারা অপহৃদ, সে কথাটাও এখানে একবার প্রকাশ করুন' । দত্ত। মিসেস মারাশন। অমরেন্দ্ৰনাথ চাকিত হইয়া, আৰ্দ্ধাখিত হইয়া কহিলেন, “মিসেস মারুশন ! তিনি কি আমাদের প্রিার্থগুপ্তি চুরি করিয়াছিলেন ?” বেণ্টউড সপরিহাসে কহিলেন, “হা, সুবিজ্ঞ দত্ত সাহেবের মুখ হইতে, যখন একথা বাহির হইয়াছে, তখন ইহা আমাদের সকলেরই খুব বিশ্বাস করা কর্তব্য ।” দত্ত সাহেব বলিতে লাগিলেন, “মিসেস মার্শন সেই বিষ-গুপ্তি চুরী করিয়া জুলেখাকে দিয়াছিলেন। জুলেখা আপনাদের আদেশে সেই বিষগুপ্তিতে নূতন বিষ ঢালিয়া আপনাকে দিয়াছিল। আপনি নিজের পথ নিষ্কণ্টক করিবার জন্য সেই বিষ-গুপ্তিতে সুরেন্দ্রনাথকে হত্যা করিয়াছেন।”