পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&8 o জীবন্মত-রহস্য এদিকে দত্ত সাহেব যেমন বন্দী বেণ্টউডকে অপরাধী সাব্যস্ত করিবার জন্য প্ৰাণপণে প্ৰমাণ সংগ্ৰহ করিতে লাগিলেন । অপরদিকে তেমনি অমরেন্দ্রনাথও বন্দীকে নিৰ্দোষ প্রমাণিত করিবার উপদান অন্বেষণে ঘুরিতে লাগিলেন। একদিন দত্ত সাহেব অমরেন্দ্ৰকে ডাকিয়া কহিলেন, “অমর, তোমার এ সকল বিসদৃশ আচরণের কারণ কি, তাহা আজ আমাকে বলিতে হইবে। কেন, তুমি আমার সহিত এরূপ ব্যবহার করিতেছ?” অমরেন্দ্ৰনাথ কহিলেন, “আমি আপনাকে আপাততঃ কোন কথা বলিব না । বলিবার কোন আবশ্যকতাও নাই।” অমরেন্দ্রনাথের উত্তরে দত্ত সাহেব নিজেকে অত্যন্ত অবমানিত বোধ করিলেন, মস্তিষ্ক উষ্ণ হইয়া উঠিল, তিনি নিজেকে কিছুতেই সামলাইতে পারিলেন না। চােখ রাঙাইয়া কম্পিত কলেবরে বলিলেন, “এতদূর স্পদ্ধা ! বিশ্বাসঘাতক ! কাপুরুষ ! অকৃতজ্ঞ ! তুমি আমার বাড়ীতে বসিয়া আমারই মুখের উপরে সমান উত্তম করিতেছ?” অমরেন্দ্ৰনাথের মলিন মুখমণ্ডলে আর একটা কাল ছায়া পড়িল । কহিলেন, “আমি বিশ্বাসঘাতক হইলাম কিসে ?” দত্ত সাহেব উগ্রভাবে কহিলেন, “আমি তোমাকে লালিত-পালিত ও সুশিক্ষিত করিবার জন্য কি কষ্টই না। স্বীকার করিয়াছি; এরূপ স্থলে আমার সহিত এইরূপ ব্যবহার করিতে দেখিয়া তোমাকে কে না বিশ্বাসঘাতক বলিবে ?” অমরেন্দ্ৰ কহিলেন, “আমার বিশ্বাসঘাতকতার কারণ বুঝিলাম। কিন্তু ইহাতে আমার কাপুরুষতা কি দেখিলেন ?” দত্ত সাহেব কহিলেন, “তুমি যখন তোমার ভ্ৰাতৃহত্যাকারীর ভয়ে, তাহারই পক্ষসমর্থন করিতে প্ৰস্তুত হইয়াছে, তখন ইহাপেক্ষ লোকের