পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ বিচার অনন্তর সাক্ষিগণের জোবানবন্দী গৃহীত হইতে লাগিল। উভয় পক্ষীয় ব্যারিষ্টার এবং বিচারকের প্রশ্নাদি বাদ দিয়া কেবল সাক্ষিগণের এজাহারের স্থূলমৰ্ম্মমাত্ৰ লিখিত হইল। আদালতের চিরাগত প্রথানুসারে সাক্ষীদিগের প্রতি যে কুট-প্ৰশ্ন-পরীক্ষা করা হইয়াছিল, গ্রন্থের কলেবর বৃদ্ধির ভয়ে ও অনাবশ্যক বোধে তাহা পরিত্যক্ত হইল । দত্ত সাহেব যে এজাহার দিলেন, তাহার সংক্ষিপ্ত মৰ্ম্ম এই ;-“আমি সুরেন্দ্রনাথের অভিভাবক এবং প্ৰতিপালক । আমি জানি, সেলিনার প্রতি সুরেন্দ্রনাথের আন্তরিক অনুরাগ এবং তাঁহাকে বিবাহ করিবার খুব আগ্রহ ছিল। সুরেন্দ্রনাথের সহিত সেলিনার বিবাহ হয়, সেলিনার মাতা মিসেস মার্শনের এ ইচ্ছা ছিল না। আসামীরও মিস সেলিনাকে বিবাহ করিবার একটা বিশেষ আগ্রহ ছিল। কিন্তু সেলিনা আসামীকে বিবাহ করিতে সম্মত হয় নাই। আমি ইতিপূর্বে একদিন আসামীকে আমার বিষ-গুপ্তি দেখাইয়াছিলাম, এবং বিষ-গুপ্তি ব্যবহার করিবার কৌশলও তাঁহাকে বলিয়াছিলাম। আসামী একবার আমার নিকট হইতে ঐ বিষ-গুপ্তি ক্রয় করিতে চাহেন ; আমি বিক্রয় করিতে সন্মত হই নাই। তাহার পর এই বিষ-গুপ্তি আমার নিকট হইতে চুরী বায়-বিষ-গুপ্তি অপহৃত হইবার পরেই সুরেন্দ্ৰনাথ রাত্রে নির্জন পথি