পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rbr জীবন্মত-রহস্য চাহিলেন । দেখিলেন, তাহার চক্ষু উল্কাপিণ্ডের ন্যায়। জলিতেছে, কি }ভীষণোত্মজ্জল দৃষ্টি—এমন তিনি আর কখনও দেখেন নাই। অতি কষ্টে 'দত্ত সাহেব, বেণ্টউডের চােখের দিকে চাহিয়া রহিলেন। সেই দুই মিনিট র্তাহার নিকটে দুই ঘণ্টার ন্যায় প্রতীত হইল। দেয়ালের ঘড়ীতে ঠং ঠং করিয়া আটটা বাজিতে আরম্ভ করিল। তৎক্ষণাৎ বেণ্টউড কহিলেন, “আপনার বাম করতল দেখুন।” দত্ত সাহেব নিজের বামকরতলের দিকে চাহিলেন । একদিন সুরেন্দ্ৰনাথের বামকরতলের যেখানে বিষ-গুপ্তির। যেমন ক্ষতচিহ্ন, এবং যেরূপ ভাবে দুই-একবিন্দু রক্ত লাগিয়া থাকিতে দেখিয়াছিলেন, এখন নিজের করতলেও ঠিক সেইস্থানে সেইরূপ ক্ষতচিহ্ন, এবং দুই-একবিন্দু রক্ত দেখিতে পাইলেন। দেখিয়া তিনি বিস্ময়প্রকাশের কিছুমাত্র সময়ও পাইলেন না-দেখিতে দেখিতে তৎক্ষণাৎ সেই ক্ষতচিহ্ন ও দুই-একবিন্দু রক্ত করতলে লীন হইয়া গেল। বেণ্টউড কহিলেন, “এইবার আপনার দক্ষিণ হস্তের করতল দেখুন। দত্ত সাহেব সবিস্ময়ে দেখিলেন, নিজের দক্ষিণ করতলে রক্তাক্ষরে নিজের নাম স্বাক্ষরিত রহিয়াছে। দেখিবামাত্র অতি সহজে নিজের সেই নাম সহি চিনিতে পারিলেন । দেখিতে দেখিতে তাহা ও ক্ষণমধ্যে অস্পষ্ট হইতে অস্পষ্টতর হইয়া করতলেই মিলাইয়া গেল।