পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&byty জীবন্মত-রহস্য বলিতেছি না-অনেকেই পরের পীড়াপীড়ি বা প্ররোচনায় বাধ্য হইয়া, নিজের কিছুমাত্র ইচ্ছা নাই—এমন অনেক কাজ সম্পন্ন করিয়া থাকে।” বেণ্টউড কহিলেন, “বেশ কথা-আপনি ব্যাহা বলিলেন, তাহা বেশ যুক্তি-সঙ্গত। উহা ও একপ্রকার হিপ'নেটিজম-আপনার ইচ্ছা নাই, অথচ আপনাকে বলিয়া কহিয়া আপনার দ্বারা একটা কাজ করাইয়া লাইতে পারি—তাহাতে অবশ্যই আমার নিজের কিছু ইচ্ছাশক্তি অথবা বিশেষ একটা আগ্ৰহ থাকা প্রয়োজন, নতুবা কাৰ্য্যোদ্ধার হয় না। ভাল আপনাকে আরও একটা বিষয় দেখাইতেছি ; আপনি স্থিরমনে আমার তর্জনী আঙ্গুলির দিকে চাহিয়া দেখুন।” এই বলিয়া বেণ্টউড পার্শ্ববৰ্ত্তী আলমারী হইতে একখানি পুস্তক বাহির করিয়া, বামহস্তে সেই পুস্তকের মধ্যবৰ্ত্তী কোন পৃষ্ঠা উন্মুক্ত রাখিয়া, দত্ত সাহেবের সমক্ষে দক্ষিণ তস্ত সবেগে স্বাঞ্চালন করিতে লাগিলেন । দত্ত সাহেব দেখিলেন, বেণ্টউডের হস্ত মুষ্টিবদ্ধ, কেবল তর্জনী উন্মুক্ত রহিয়াছে—এবং শতকিয়ার ৪ লিখিবার মত ঘুরিয়া ফিরিয়া সেই হস্ত উদ্ধ ও অধো ঘন ঘন আন্দোলিত হইতেছে। ক্ষণপারে দেখিলেন, সেই তৰ্জনীর অগ্রভাগে একটু নীলালোকরেখা—এমন অনুজ্বল, একবার দেখা যাইতেছে, একবার দেখা যাইতেছে না। পরীক্ষণে দেখিলেন, সেই গৃহের একটা কোণে অস্পষ্ট ধূমের মত খানিকটা কি দেখা গেলদেখিতে দেখিতে ধূম নিবিড় হইল—দেখিতে দেখিতে সেই পুঞ্জীকৃত ধূম দীৰ্ঘে দুইহন্ত পরিমিত হইল। ক্ৰমে সরিয়া সরিয়া তাঁহারই দিকে আসিতে লাগিল ; যত নিকটবৰ্ত্তী হইতে লাগিল, আকারে ততই বাড়িতে লাগিল। এবং কেমন যেন একটা আকার প্রাপ্ত হইল-আরও দীর্ঘ হইল-আরও দীর্ঘ হইল। দেখিয়া, একটি বহিঃ-রেখাঙ্কিত মনুষ্যকৃতি বলিয়া তখন দত্ত সাহেবের বোধ হইল। দেখিতে দেখিতে সেই মূৰ্ত্তি