পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ পরিচয় দত্ত সাহেবের বাটীর অনতিদূরবর্তী আর একটি দ্বিতল অট্টালিকা, স্বীয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় এবং মনোহারিত্বে সর্বাগ্রে ও অতি সহজে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অট্টালিকার চতুর্দিকস্থ তৃণাবৃত উন্মুক্ত স্থান, অনতি উচ্চ প্ৰাচীর, ক্রোটন ও ঝাউশ্রেণীর দ্বারা চতুর্দিক বেষ্টিত। সেই শ্যামল তৃণক্ষেত্রের মধ্যে মধ্যে এক একটি পুম্পিত বৃক্ষ শোভা পাইতেছে। কেবল সম্মুখে নহে, বাড়ীখানির চারিদিকে প্রশস্ত বারান্দা, সেখানে টবের উপরে শ্রেণীবদ্ধ অনেক রকম ফুলের 外互1 মিসেস মারশন এই বাটীতে বাস করেন। প্ৰায় সাত বৎসর হইল, তিনি এই বাড়ীখানি পছন্দ করিয়া ক্রয় করিয়াছেন। মিসেস মারশনের স্বামী জীবিত নাই। তিনি একমাত্র কন্যাকে লইয়া এইখানে আজ প্ৰায় সাত বৎসর কাল বাস করিতেছেন । কন্যার নাম সেলিনা । সেলিনার পিতা মিঃ মারশন বেশ একজন কাজের লোক ছিলেন। আসামে এক চা বাগানের স্থাপনা করিয়া তিনি প্ৰভূত অর্থ উপার্জন করেন। সেইখানে কোন সংক্রামক ব্যাধিতে তাঁহাকে ইহলোক ত্যাগ করতে হয়। তাহার মৃত্যুর পরে পত্নী মিসেস মােরশন চা বাগানখা৯ি রাখিবার জন্য কিছুদিন চেষ্টা করিয়াছিলেন ; তাহার