পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ra জীবন্মত-রহস্য পর অর্থে পার্জনের আর কোন আবশ্যকতা নাই ।“ দেখিয়া সে চেষ্টা ত্যাগ করিলেন ; এবং বাগান হস্তান্তরিত হইয়া গেল। তিনি সেলিনাকে লইয়া কলিকাতায় উপস্থিত হইলেন । কলিকাতায় আসিয়া কিছুদিন চৌরঙ্গীতে ভাড়াটীয়া বাটীতে বাস করেন ; তাহার পর বালিগঞ্জের এই সুরম্য অট্টালিকা ক্রয় করিয়া সেখান হইতে উঠিয়া আসিলেন । মিসেস মারশন যখন কলিকাতায় আসেন, তখন তাহার সহিত আর একটী প্ৰাণী আসিয়াছিল—তাহারও কিছু পরিচয় আবশ্যক ; কারণ, এই আখ্যায়িকার সহিত তাহার যথেষ্ট সংশ্ৰব আছে। তাহার নাম জুলেখা । জুলেখা কৃষ্ণাঙ্গী, কৃশাঙ্গী, এবং কিছু দীর্ঘাঙ্গী ; বয়স ত্ৰিশ বৎসর। মুখাকৃতি দেখিতে নিতান্ত মন্দ না হইলেও তাহাতে যেন কি একটা ভীষণতার ছায়া সতত লাগিয়া রহিয়াছে। কৃষ্ণ চক্ষুর দৃষ্টি দীপ্ত উস্কার ন্যায় অত্যন্ত উজ্জল, সচরাচর তেমন দেখিতে পাওয়া যায় না। সে দৃষ্টিতে যেন একটা বৈদ্যুতিক-প্ৰবাহ মিশ্রিত আছে, এবং একেবারে তীক্ষ শরের ন্যায় তাহা বিদ্ধ করে । যখন মিঃ মারশন চা বাগানের কাজ আরম্ভ করেন, তখন তিনি ছােটনাগপুর হইতে কোল-জাতীয় অনেক কুলী সংগ্ৰহ করিয়া আনিয়াছিলেন। তাহাদিগের মধ্যে কতক স্ত্রীলোকও ছিল । স্ত্রীলোকদিগের মধ্যে এই জুলেখা এখন অবশিষ্ট আছে। জুলেখার মা তাহাকে সঙ্গে লইয়া চা বাগানে কাজ করিতে আসিয়াছিল। জুলেখার মাকে কিংবা তাহার কন্যাকে চা বাগানে একদিনও কাজ করিতে হয় নাই। তাহারা মারিশনদিগের সংসারের কাজ-কৰ্ম্মে নিয়োজিত হইয়াছিল, এবং অতাল্পকালের মধ্যে তাহাদিগের প্রভুর উপরেও প্ৰভুত্ব বিস্তার করিতে সমর্থ হইয়াছিল। জুলেখার মা মৃত্যুপূৰ্ব্বে মিঃ ও মিসেসূAমার্শনের