পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিপনেটিজম কি ? চন্দ্ৰশেখর তাহাকে বলিলেন, “একটি কথা কহিবে না, কেবল আমার চক্ষের প্রতি চাহিয়া থাকিবে ।” উন্মাদিনী (, শৈবলিনী ) আরও ভীত হইয়া তাহাই করিল। তখন, চন্দ্ৰশেখর • তাহায় ললাট, চক্ষু প্ৰভৃতির নিকট নানা প্রকার বক্রগর্তিতে হস্ত সঞ্চালন করিতে লাগিলেন। এইরূপ কিছুক্ষণ করিতে করিতে শৈবলিনীর চক্ষু বুজিয়া আসিল—অচিরাৎ শৈবলিনী চুলিয়া পুড়িল-ঘোর নিদ্রাভিভুভ হইল।” শৈবলিনী এইরূপ অভিভূত অবস্থায় চন্দ্ৰশেখরের অনেক প্রশ্নের উত্তর করিল। এখানে তদুল্লেখ নিম্প্রয়োজন। মোহিষ্ণু অবস্থায় কিরূপ অদ্ভূত ক্ষমতা জন্মে, তাহা দেখাইবার জন্য দুই-একটি প্রশ্নোত্তর উদ্ধত করিলাম । “এই সময়ে দূরে অশ্বের পদশব্দ শুনা গেল। চন্দ্ৰশেখর জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমার যোগবল নাই-রমানন্দ স্বামীর যোগবল পাইয়াছ,-বল ও কিসের শব্দ ? শৈ । ঘোড়ার পায়ের শব্দ । চ। কে আসিতেছে ? ? শৈ। মহম্মদ ইরফান-নিবাবের সৈনিক। b । 6कन ठानि८ङ5८छ ? শৈ। আমাকে লইয়া যাইতে- ইনবাব আমাকে দেখিতে চাহিয়াছেন। চ। ফষ্টর সেখানে গেলে পরে তোমাকে দেখিতে চাহিয়াছেন, না তৎপূৰ্ব্বে ? শৈ । না । দুইজনকে আনিতে এক সময়ে আদেশ কবেন।” এই কয়েকটি কথায় গ্ৰন্থকার অভিভূত শৈবলিনীর অদ্ভুত শক্তির পরিচয় দিয়াছেন। উন্মাদিনী শৈবলিনী নিজের রুদ্ধগৃহে বসিয়া বাহিরের ংবাদ-দূৰ্ববৰ্ত্তী স্থানের সংবাদ যথাবৎ বলিয়া গেল। আর এক স্থানে এইরূপ লিখিত হইয়াছে, “নয়ন বিনত করিতে ফষ্টরের দৃষ্টি তাম্বুর বাহিরে পড়িল। সহসা দেখিল, এক জটাজুটধারী রক্তবস্ত্ৰ পরিহিত শ্বেতশ্নশ্রুবিভূষিত বিভূতিরঞ্জিত পুরুষ ( রমানন্দ দ্বানী ) দাড়াইয়া তাহার প্রতি দৃষ্টি করিতেছেন। ফষ্টর সেই চক্ষুর প্রতি স্থিরদৃষ্টিতে চাহিয়া রহিল,-ক্রমে তাহার চিত্ত সেই দৃষ্টির বশীভুত হইল। ক্রমে চক্ষু বিনত করিলযেন দারুণ নিদ্রায় তাহার শরীর অবশ হইয়া আসিতে লাগিল। বোধ হইতে লাগিল, যেন সেই জটাজুটধারী পুরুষের ওষ্ঠাধর বিচলিত হইতেছে-যেন তিনি কি বলিতেছেন। ক্ৰমে সজলজলদগম্ভীর কণ্ঠধ্বনি যৈন তাহার কৰ্ণে প্রবেশ করিল। ফষ্টর শুনিল, যেন কেহ বলিতেছে, “আমি তোকে কুকুরের দণ্ড হইতে উদ্ধার করিব। আমার কথার উত্তর দে। তুই কি শৈবলিনীর জার ?”