পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩৬৫

S NR হিপািনটিজম কি ? করিয়া উঠে। একবার ওঝা মন্ত্রপূত করিয়া একবাটী জল বালিকার সম্মুখে রাখিলএবং বালিকাকে সেই জলের মধ্যে নিজের প্রতিবিম্ব দেখিতে আদেশ করিল। বালিকা একবার জলের দিকে চাহিয়া সািভয়ে আকুল চীৎকার করিয়া উঠিল। সেই জলের মধ্যে প্রাতের সেই ডাইনীর মুখ দেখিতেছে, বালিকল বলিল। “সেই বড় বড় জ্বলন্ত চক্ষু-ভীষণ দৃষ্টি !” বালিকা সেই ডাইনীর রূপ বর্ণনা করিল। ইহা প্রত্যক্ষীভূত ঘটনা। আরও শোনা ছিল, প্ৰদীপের আলো ডাইনীগ্রস্তের চক্ষে সহ্য হয় না, তাহা মিথ্যা নহে ; সন্ধ্যার সময় অপর ঘরে প্রদীপ জালিলে, বালিকা বড় অস্বাচ্ছন্দ্য প্ৰকাশ করিতে লাগিল। তাহার পর যখন সেই প্ৰদীপ তাহার সম্মুখে লওয়া লইল, তখুন কলিকা চীৎকার করিয়া উভয় হস্তে মুখ চোখ ঢাকিয়া-দালানে বসিয়া ছিল-ঘরের মধ্যে উঠিয়া যাইবার জন্য লাফাইয়া উঠিল ; অনেকে তাহাকে ধরিয়া রাখিতে চেষ্টা করিল, কিন্তু সেই ক্ষীণকায় বালিকা। এমত বল প্ৰকাশ করিল যে, কেহই তাহাকে জোর করিয়া ধরিয়া রাখিতে পারিল না । তাহার পর অনেক চেষ্টায় বালিকা সুস্থ হইল । সুস্থ হইবার পূর্বে বালিকা মূচ্ছিত হইয়া পড়িল। সেই মূচ্ছিােভঙ্গে বালিকার যে জ্ঞান হইল, তাহা নিজের জ্ঞান। সে তখন সকলকে চিনিতে পারিল। ইহার দুই-তিন দিন পরে তাহাকে সেই ডাইনীর কথা জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল । বালিকা বলিল, “সে কথা আমাকে জিজ্ঞাসা করিবেন না, আগুনের মত সেই চোখ দুটা মনে পড়িলে dथ९3 डीभद्ध ठश कcद्ध ।” হিপনেটিজমে মুগ্ধব্যক্তি মুগ্ধকারী একান্ত আজ্ঞাধীন হইয়া পড়ে। মুগ্ধকারী যদি বলে, তুমি বড় মাতাল হইয়াছ ; মুগ্ধব্যক্তি তখনই ঠিক মাতালের ন্যায় বলিতে, চলিতে ও টলিতে আরম্ভ করিবে । তাহাকে যদি বলা যায়, ঘরে আগুন লাগিয়াছে ; মুগ্ধব্যক্তি তাহাই সত্য মনে করিয়া ঘরের বাহিরে যাইবার জন্য ছুটাছুটি করিবে। তাহার চারিদিকে বোলতা উড়িতেছে বলিলে, সে সভয়ে চারিদিকে হস্ত সঞ্চালন করিবে। মুখবাদন করিয়া থাকিতে বলিলে, সে ঠিক তাহাই করিবে, কিছুতেই 〔开 নিজের ইচ্ছাক্রমে মুখ বুজিতে পরিবে না । মদ্যপকে মুগ্ধ করিয়া মদ্যপানে তাহার এমন বিতৃষ্ণা জন্মাইয়া দেওয়া যাইতে পারে যে, মদ দেখিয়া সে তখনই ঘূণাভরে মুখ ফিরাইয়া লইবে। একবার একজনকে মুগ্ধ করিয়া বলা হইয়াছিল, তুমি তোমার নাম বলিতে পরিবে না ; তাহাকে যতবার নাম জিজ্ঞাসা করা হইল, সে কিছুতেই নিজের নাম স্মরণ করিয়া বলিতে পারিল না। একবার একজন তোৎলাকে মুগ্ধ করা হইয়াছিল।