পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 জীবন্মত-রহস্য LT-mæ চেয়ে রৈলে, তখনই আমার মনের ভিতরে যেন কি রকম হ’তে লাগল।” জুলেখা বলিল, “যা, রান্নাঘরের কোণে তোর জন্যে কিছু খান রেখে এসেছি, গিয়ে খেয়ে আয় ।” থানার নামে আনন্দাতিশয্যে আশানুল্লার চক্ষু বিশ্বফারিত এবং রসনা সরস হইল ; এবং তাহার হাস্যপ্রোদ্ভিন্ন শুষ্ক অধরোষ্ঠের মধ্য দিয়া অনেকগুলি দন্ত যুগপৎ বিকসিত হইল। আশানুল্লা ছুটয়া চলিয়া গেল। ─ নবম পরিচ্ছেদ मश्icठ জুলেখার নিকট হইতে পলাইয়া সেলিনা নীচে’ নীমিয়া আসিল। দেখিল, অদূরে সুরেন্দ্রনাথ আসিতেছেন। সুরেন্দ্রনাথকে দেখিয়া আগ্রহভরে সেলিনা ছুটিয়া গিয়া তাহার হাত ধরিল। সুরেন্দ্রনাথ তাহাকে প্ৰেমভরে বাহুবেষ্টন করিয়া মুখচুম্বন করিলেন। সেলিনা লজ্জারাক্তমুখে মস্তক অবনত করিল। সুরেন্দ্ৰনাথ তাহার ললাট হইতে আনয়নবিলম্বী অলকগুচ্ছ সরাইতে সরাইতে প্ৰেমপূৰ্ণ কণ্ঠে কহিলেন, “সেলিনা, কেমন আছ ?” সেলিনা কহিল, “বড় ভাল নয় ; জুলেখা আমাকে অত্যন্ত বিব্রত করিয়া তুলিয়াছে। চল, আমরা উপরের ঘরে গিয়া বসি।” সুরেন্দ্ৰনাথ ও সেলিনা দ্বিতলের একটি কক্ষে গিয়া বসিলেন। সুরেন্দ্রনাথ কহিলেন, “যাহাতে জুলেখার একটু শাসন হয়, আমি