পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন্মত-রহস্য habaga সেলিনা কহিল, “জুলেখা ও বেণ্টউডের মধ্যে একটা কোন যোগযোগ আছে। যখনই বেণ্টউড আমাদের বাড়ীর দিকে আসেনজুলেখা তা আগে থেকেই জানিতে পারে। এই প্ৰমাণ দেখ না, এখনই বেণ্টউডের আবির্ভাব হয়।” সেলিনার কথা শেষ হইতে-না-হইতে বেণ্টউড সাহেব গেটের সম্মুখে দেখা দিলেন। জুলেখা তঁহার পদতলে ব্যাকুলভাবে লুটাইয়া পড়িল। বেণ্টউড তাহাকে ধরিয়া তুলিলেন। এবং রাস্তায় বাহির হইয়া যাইতে অঙ্গুলি নির্দেশ করিলেন। জুলেখা বাহির হইয়া গেল। দশম পরিচ্ছেদ বিবাহ-প্ৰস্তাবে যে কক্ষে বসিয়া সুরেন্দ্ৰনাথ ও সেলিনা কথোপকথন করিতেছিলেন, মিঃ বেণ্টউড রুমালে মুখ মুছিতে মুছিতে সেইখানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । সেলিনা বেণ্টউডকে কহিল, “জুলেখা জানু পাতিয়া বসিয়া আপনাকে এমন ব্যাকুলভাবে কি বলিতেছিল ?” বেণ্টউড কহিল, “কিছুই না, জুলেখা বড় কৃতজ্ঞ। জুলেখার একবার সাংঘাতিক পীড়া হয় ; আমিই তাহাকে নীরোগ করি, তাহা ত তুমি জান ; সেই অবধি জুলেখা আমাকে বড় ভক্তি করে।” সুরেন্দ্ৰনাথ কহিলেন, “আপনি কি ছোটনাগপুর অঞ্চলে কখনও গিয়াছিলেন ?”