পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্ৰমণিকা রাত্রি গভীর, নিরন্ধকার, নির্নক্ষত্র এবং নীরব। অতিদূরে দেবদারুশ্রেণীর অন্তরালে সুৰ্য্যোদয় হইয়াছে, এবং কোটী কোটি স্বর্ণকররেখা ধীরে ধীরে ধরণীর তৃণশ্যামল বক্ষঃ বেষ্টন করিতেছে। পাখীরা প্ৰভাতী গায়িতেছে ; এবং এক শাখা হইতে অপর শাখায়, কখন এক বৃক্ষ হইতে অপর বৃক্ষে উড়িয়া বসিতেছে ; এবং কোনটা উড়িয়া একেবারে অদৃশ্য হইয়া যাইতেছে। ক্রমে নির্মেঘ আকাশ রৌদ্রোজ্জল, নিবিড় তরুশীর্ষ রৌদ্ররঞ্জিত, ক্ৰমে দিগদিগন্ত প্ৰস্ফুট ও সজীব হইয়া উঠিতে লাগিল ; চাহিয়া 'চাহিয়া কিশোরীর বিস্ময়বিস্ফারিত চক্ষু নিমীলিত হইয়া গেল ; তথাপি সে দেখিতে লাগিল, সেই অপূৰ্ব্ব দৃশ্য—সেই রৌদ্রময়ী রজনী-তারা নাইমেঘ নাই-অন্ধকার নাই, এবং সুৰ্য্যের সেই স্বর্ণকিরণ দেবদারু-পত্রের অগ্রভাগ হইতে ঝরিয়া ঝরিয়া তাহার সুন্দর মুখমণ্ডলে পড়িতেছে। তাহার সর্বাঙ্গ ব্যাপিয়া স্বেদশ্ৰুতি হইতে লাগিলা-পরীক্ষণে সংজ্ঞাশ্বম্ভ হুইয়া সেখানে পড়িয়া গেল ।