পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ খুনের পর কিছুতেই দত্ত সাহেব তঁাহার মস্তিষ্ক ও চিত্ত স্থির করিতে পারিলেন না ; হৃদয়ক্ষেত্ৰ ব্যাপিয়া একটা প্ৰচণ্ড প্ৰলিয়াকাণ্ড চলিতে লাগিল । যতই ভাবিতে লাগিলেন, ততই চঞ্চল হইয়া উঠিতে লাগিলেন। উজ্জল চন্দ্ৰলোকে দত্ত সাহেব সুরেন্দ্ৰনাথের দেহ পৰ্য্যবেক্ষণ করিতে লাগিলেন ; কোথাও কোন অস্ত্রাঘাতের চিহ্ন দেখিতে পাইলেন না। কেবল বাম করতলে "দুই-এক বিন্দু রক্ত লাগিয়া থাকিতে দেখিলেন। রুমাল দিয়া রক্তটা মুছিয়া দেখিলেন, সুচিবিদ্ধের ন্যায় সামান্য একটু ক্ষতচিহ্ন। দেখিয়া দত্ত সাহেরু বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ন্যায় লাফাইয়া উঠিলেন। বলিলেন, “কি সৰ্ব্বনাশ ! সেই বিষ-গুপ্তি দিয়া নিশ্চয়ই কেহ সুরেন্দ্ৰনাথকে হত্যা করিয়াছে।” এমন সময়ে দুইজন সহিস সঙ্গে রহিমবক্স ও গাড়ী লইয়া কোচুম্যান আসিয়া উপস্থিত হইল। বেণ্টউডকে ডাকিয়া আনিবার জন্য দত্ত সাহেব কোচুম্যানকে গাড়ী লইয়া শাস্ত্ৰ আলিপুরে যাইতে আদেশ করিলেন। অতি দ্রুত গাড়ী হাকাইয়া কোচুম্যান চলিয়া গেল। দত্ত সাহেব দুইজন সহিস ও রহিমবক্সের সাহায্যে সুরেন্দ্ৰনাথকে ধরাধরি করিয়া নিজের বাড়ীতে আনিয়া ফেলিলেন ; এবং নিম্নতলস্থ বৈঠকখানা গৃহের পাশ্ববৰ্ত্তী এক প্রশস্ত প্ৰকোষ্ঠ মধ্যে তঁাহাকে রাখিয়া দিলেন । 歌