“তুমি বিনা কে প্রভু সংকট নিবারে
কে সহায় ভব-অন্ধকারে”---
তিনি নিস্তব্ধ হইয়া নতশিরে কোলের উপর দুই হাত জোড় করিয়া শুনিতেছেন, —সেই সন্ধ্যাবেলাটির ছবি আজও মনে পড়িতেছে।
পূর্বেই বলিয়াছি একদিন আমার রচিত দুইটি পারমার্থিক কবিতা শ্রীকবাবুর নিকট শুনিয়া পিতৃদেব হাসিয়াছিলেন। তাহার পরে বড়াে বয়সে আর একদিন আমি তাহার শােধ লইতে পারিয়াছিলাম। সেই কথাট। এখানে উল্লেখ করিতে ইচ্ছা করি।
একবার মাঘোৎসবে সকালে ও বিকালে আমি তানেকগুলি গান তৈরি করিয়াছিলাম। তাহাদের মধ্যে একটা গান— “নয়ন তােমারে পায় না দেখিতে রয়েছ নয়নে নয়নে”।
পিতা তখন চুঁচুড়ায় ছিলেন। সেখানে আমার এবং জ্যোতিদাদার ডাক পড়িল। হারমােনিয়মে জ্যোতিদাদাকে বসাইয়া আমাকে তিনি নূতন গান সবকটি একে একে গাহিতে বলিলেন। কোনাে কোনো গান দুবার ও গাহিতে হইল।
গান গাওয়া যখন শেষ হইল তখন তিনি বলিলেন, দেশের রাজা যদি দেশের ভাষা জানিত ও সাহিত্যের আদর বুঝিত তবে কবিকে তো তাহার পুরস্কার দিত! রাজার দিক হইতে যখন তাহার কোনাে সম্ভাবনা নাই তখন আমাকেই সে কাজ