তাহার সমস্ত বীমা ব্রজবন্ধু নামক এক ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করিয়াছে। ব্রজবন্ধু হরেকৃষ্ণের তরফ হইতে দুইবারের চাঁদার টাকা সেই সমস্ত অফিসে জমা দিয়াছে। ইহার পরেই হরেকৃষ্ণ মরিয়া যায়। মরিবার পর ব্রজবন্ধু ঐ ত্রিশ সহস্র টাকা পাইবার নিমিত্ত বীমা অফিসে আবেদন করিয়াছে। ঐ আবেদনের সঙ্গে হরেকৃষ্ণের পীড়ার সময় যে ডাক্তার তাহার চিকিৎসা করিয়াছিল, তাহার সাটিফিকেট আছে। সজ্ঞানে তীরস্থ হইবার পর গঙ্গার ঘাটে যে ডাক্তার তাকে দেখিয়াছিল ও যাহার সম্মুখে হরেকৃষ্ণ মরিয়া গিয়াছে, তাহারও সার্টিফিকেট আছে। তৎব্যতীত যাহাদিগের সম্মুখে হরেকৃষ্ণের নিকট হইতে ব্রজবন্ধু জীবন বীমা খরিদ করিয়াছিল, তাহাদিগের নামস্বাক্ষরিত ও বীমা অফিসের অনুমোদিত বিক্রয়-পত্র তাহার সহিত প্রদত্ত হইয়াছে। এই সমস্ত অবস্থা ও কাগজ পত্র দেখিয়া কেহই অনুমান করিতে পারেন যে, ইহার ভিতর কোনরূপ জুয়াচুরি আছে। যে পর্যন্ত বেনামা পত্র প্রাপ্ত হওয়া না গিয়াছিল, সেই পর্যন্ত কাহারও মনে উদয় হয় নাই যে, ইহার ভিতর কোনরূপ জুয়াচুরি আছে।
অনুসন্ধানের ভার আমার উপর প্রদত্ত হইলে ও সমস্ত কাগজ পত্র আমার হস্তগত হইলে, আমারও মনে উদয় হইয়াছিল যে, ইহার ভিতর কোনরূপ জুয়াচুরি নাই। ইহার পরেই আমি ব্রজবন্ধু সহিত সাক্ষাৎ করিলাম। তিনি একটী জমিদার, সহরের নিকটবর্তী কোন স্থানে তাহার বাসস্থান। তিনি একজন বড় জমিদার না হইলেও তাঁহার বাৎসরিক পাঁচ, ছয় হাজার টাকা আয় আছে। তৎব্যতীত সময় সময় ব্যবসা বাণিজ্যও করিয়া থাকেন। তিনি অতিশয় মিষ্টভাষী। কোন ব্যক্তি কোনরূপে