থাকেন। বৎসরের মধ্যে দুই একবার জমিদারের বাড়ীতে আসেন, কিন্তু দুই এক দিবস থাকিয়াই চলিয়া যান। এবার কিন্তু তিনি আসিয়া অনেক দিন ছিলেন,
আমি। তাঁহার নাম কি?
জমি। তাহার নাম কৃষ্ণরাম।
আমি। তিনি কোন্ দেশীয় লোক?
জমি। তাহা আমি বলিতে পারি না, কিন্তু শুনিয়াছি, তাঁহার পুত্রাদি নাই, কেবল একটী জামাই আছে, সেও ব্রজবন্ধুর কোন জমিদারিতে কার্য্য করিয়া থাকে।
আমি। তাঁহাকে আপনি কতদিন দেখেন নাই।
জমি। অনেক দিবস পরে তাহাকে এবার ব্রজবন্ধুর বাড়ীতে দেখিয়াছি।
আমি। সে কত দিবসের কথা?
জমি। বোধ হয় ১৫/১৬ দিবসের অধিক হইবে না।
জমিদার মহাশয়ের কথা শুনিয়া আমার মনে হইল, যদি জমিদার মহাশয়ের কথাগুলি সত্য হয়, তাহা হইলে ব্রজবন্ধু কৃষ্ণরামের সাহায্যে যে ভয়ানক জুয়াচুরি করিয়াছে, সে বিষয়ে আর কিছু মাত্র সন্দেহ নাই। এখন এ বিষয় একটু বিশেষরূপে অনুসন্ধান করি। দেখিবার প্রয়ােজন হইতেছে। যদি অনুসন্ধান করিয়া কৃষ্ণরামকে বাহির করিতে পারি, ও সেই কৃষ্ণরামকে অফিসের সমস্ত ব্যক্তি ও ডাক্তারদ্বয় যদি হরেকৃষ্ণ বলিয়া চিনিতে পারে, তাহা হইলেই জানিতে পারি যে, ইহা একটা ভয়ানক জুয়াচুরি কাণ্ড। মনে মনে এইরূপ ভাবিয়া জমিদার মহাশয়কে কহিলাম, “ব্রজবন্ধুর কোন্ জমিদারিতে কৃষ্ণরাম কর্ম্ম করে ও তাহার