স্থানে হিন্দুমাত্রেই গমন করিয়া থাকেন, সেই সকল স্থান তন্ন তন্ন করিয়া অনুসন্ধান করিলাম, কোথাও, তাহাদের সন্ধান পাইলাম না। ক্রমাগত চারি পাঁচ দিবস অনুসন্ধানের পর বুঝিতে পারিলাম, তাহারা ঐ স্থানে আসে নাই। সুতরাং ঐ স্থান হইতে বহির্গত হইয়া অযোধ্যায় উপস্থিত হইলাম।
শ্রীরামচন্দ্রের লীলাভূমি পুণ্যময় অযোধ্যাধামে উপস্থিত হইয়া, যে যে স্থানে শ্রীরামচন্দ্রের কীর্তিকলাপ এখনও বর্তমান রহিয়াছে, যে যে স্থানে তীর্থযাত্রী-হিন্দুগণ গমন না করিয়া সেই স্থান হইতে প্রত্যাগমন করিতে পারেন না,—যে যে স্থানে অপরদেশবাসীগণ অবস্থিতি করিয়া থাকেন, সেই সকল স্থান তত্রত্য পাণ্ডাগনের সাহায্যে তিন দিবস কাল উত্তমরূপে অনুসন্ধান করিলাম, কিন্তু কোথাও তাহাদের সন্ধান পাইলাম না। অগত্যা সেই স্থান। হইতে প্রয়াগতীর্থে গমন করিলাম।
প্রয়াগে উপস্থিত হইয়া, যেখানে গঙ্গা ও যমুনার সঙ্গমস্থল সেই স্থানে ও তাহার কিয়ৎ দূরবর্তী এলাহাবাদ সহরের যে যে স্থানে বাঙ্গালীগণের বাস করিবার সম্ভাবনা, সেই সেই স্থানে উত্তমরূপে অনুসন্ধান করিলাম, কোথাও তাহাদের সন্ধান পাইলাম না। প্রয়াগ হইতে পুষ্কর তীর্থে গমন করিতে মনস্থ করিয়া সেই স্থান হইতে বহির্গত হইলাম। ঐ স্থানে গমন করিতে হইলে অগরা হইয়া যাইতে হয়। ঐ আগরায় মুসলমান রাজত্বের চিহ্ন প্রস্ত-নির্ম্মিত কেল্লা, জুম্মা মসজিদ ও দুগ্ধ-ফেমির খেত-প্রস্তর নির্ম্মিত তাজমহল এখনও বর্তমান। ঐ স্থান অতিক্রম করিয়া ক্রমে আজমির সহরে উপনীত হইলাম। আজমির হইতে পুর পাঁচ ক্রোশ ব্যবধান মাত্র-পাহাড়ের উপর দিয়া গমন করিতে