পাতা:জীবন বীমা - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
দারোগার দপ্তর, ১৬৩ সংখ্যা।

বলিয়া, কৃষ্ণরাম ও তাহার জামাতার যেরূপ আকৃতি তাহা তাহা, দিগের নিকট বর্ণন করিলাম, কিন্তু ঐরূপ ব্যক্তি ঐ স্থানে আসিয়া যে কোন স্থানে অবস্থিতি করিয়াছিলেন, তাহা তাহাদিগের মধ্যে কেহই স্থির করিয়া বলিতে পারিল না।

 যখন দেখিলাম, ঐ সকল পাণ্ডাগণের নিকট হইতে তাহা দিগের কোনরূপ সন্ধান পাওয়া গেল না, তখন আমার পূর্ব পরি চিত এক পাণ্ডার বাটীতে গিয়া উপস্থিত হইলাম। বলা বাহুল্য, সরকারী কার্য্য উপলক্ষে ঐ স্থানে আমি ইতিপূর্বে আরও দুই একবার আসিয়াছিলাম ও ঐ পাণ্ডার বাটীতেই অবস্থিতি করিয়াছিলাম। যে বাড়ীতে আমাদিগের বাসা ঠিক হইল, তাহা পুষ্কর কুণ্ডের পার্শ্বেই অবস্থিত। |

 যে গ্রামখানি পুষ্কর গ্রাম বলিয়া বিখ্যাত, তাহার মধ্যে একটা বৃহৎ পুষ্করিণী অথবা ক্ষুদ্র সরোবর আছে। উহাকেই পুরকুণ্ড কহিয়া থাকে। কথিত আছে, ব্রহ্মার যজ্ঞকালীন এই কুণ্ড প্রতিষ্ঠিত হয় ও এই স্থানে বসিয়াই ব্রহ্মা তাঁহার মহা যজ্ঞ সমাপন করেন—এখন ইহাই একটা হিন্দুদিগের মহৎ তীর্থরূপে পরিগণিত। এই কুণ্ডে অবগাহন করিয়া মান তর্পণাদি করাই হিন্দু দিগের প্রধান কার্য্য। কিন্তু আজকাল ঐ কুণ্ডের মধ্যে যেরূপ শত সহস্র কুম্ভিরের বাসস্থান হইয়াছে, তাহাতে নির্ভিক চিত্তে ঐ কুণ্ডে অবগাহন করা বড়ই দুঃসাধ্য। যাহা হউক, ঐ স্থানে অবস্থিতি করিয়া আমার পুরাতন পাণ্ডার সাহায্যে কৃষ্ণরাম ও তাহার জামাতার অনুসন্ধান করিতে লাগিলাম। দুই তিন দিবস অনুসন্ধান করিবার পর জানিতে পারিলাম, তাহারা ঐ স্থানে একটা পাণ্ডার গৃহে কয়েক দিবস বাস করিয়াছিল, ও সেই