প্রাপ্ত হইলাম; ও তাহাকে কৃষ্ণরামের কথা জিজ্ঞাসা করিলাম। সে প্রথমত, কৃষ্ণরাম সম্বন্ধে সমস্ত কথাই অস্বীকার করিল, পরে কহিল, তাহার শ্বশুর যে কোথায় আছেন, তাহা তিনি অবগত নহেন। অনেক দিবস তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ হয় নাই। যে স্থানে তিনি কর্ম্ম করেন, সম্ভবত সেই স্থানেই তিনি আছেন। কারণ সেইস্থান পরিত্যাগ করিয়া কেবলমাত্র তাহার মনিবের বাড়ী ভিন্ন অপর কোনও স্থানে প্রায়ই তিনি গমন করেন না।
জামাতার কথা শুনিয়া বুঝিলাম যে, তিনি আগাগোড়া সমস্তপই মিথ্যা কথা কহিতেছেন। সুতরাং ঐ স্থানে তাহাকে আর কোন কথা জিজ্ঞাসা করা উচিত নহে, মনে মনে এইরূপ ভাবিয়া, তাহাকে আমার সঙ্গে থানায় আসিতে কহিলাম। বলা বাহুল্য, প্রথমতঃ তিনি আমার সহিত আসিতে অসম্মত হইলেন, কিন্তু যখন তিনি বুঝিতে পারিলেন যে, যদি সহজে তিনি আমার সহিত আগমন না করেন, তাহা হইলে আমি তাহাকে ধৃত করিয়া অনায়াসেই লইয়া যাইব, তখন তিনি আমার প্রস্তাবে সম্মত হইয়া, আমার সহিত থানায় আগমন করিলেন।
থানায় অসিয়া আমি তাহাকে অনেক বুঝাইয়া বলিলাম, কিন্তু তিনি আমার কোন কথার প্রকৃত উত্তর প্রদান করিলেন না। পরিশেষে পুষ্কর ও নৈমিষারণ্যের যে যে স্থানে তাহারা অবস্থান করিয়াছিলেন, কহিলাম। আরও কহিলাম, ইহাতেও যদি তিনি অস্বীকার করেন, তাহা হইলে তাহাকে সঙ্গে করিয়া পুনরায় সেই সেই স্থানে লইয়া যাইব। এই