বলা বাহুল্য, কৃষ্ণরামকে দেখিবামাত্রই তাহাকে ধৃত করিলাম ও আমার সহিত, অফিসের যে লোক গমন করিয়াছিলেন, তিনি তাহাকে হরেকৃষ্ণ বলিয়া সনাক্ত করিলেন ও সেই স্থান হইতে আমাদিগের প্রধান কর্মচারীর নামে তার প্রেরণ করিলে অপর কর্মচারীর দ্বারা তিনিও ব্রজবন্ধুকে ধৃত করইলেন।
সময় মত আমিও হরেকৃষ্ণ ওরফে কৃষ্ণরামকে লইয়া কলিকাতায় উপস্থিত হইলাম। অফিসের সকলেই, ও যে ডাক্তার তাহাকে চিকিৎসা করিয়াছিলেন ও জানবাজারের যে বাড়ীতে তিনি বাস করিতেন সেই বাড়ীর সরকার প্রভৃতি সকলেই তাহাকে হরে, কৃষ্ণ বলিয়া চিনিতে পারিলেন ও অফিসের সকলেই মৃত হরেকৃষ্ণকে জীবিত অবস্থায় দেখিতে পাইয়া বিস্মিত হইলেন।
বলা বাহুল্য, ব্রজবন্ধু ও কৃষ্ণরাম এই ভয়ানক জুয়াচুরি মোকদ্দমায় আসামী হইয়া ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট প্রেরিত হইলেন, তিনিও উহাদিগকে দায়রায় পাঠাইয়া দিলেন। সেই স্থান হইতে জুরির বিচারে তাহার কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইলেন। গুণধর জামাতা এই মোকদ্দমায় শ্বশুরের বিপক্ষে অর্থলোভে সাক্ষ্য প্রদান করিতে ক্রটা করিলেন না। বলা বাহুল্য, মোকদ্দমা শেষ হইলে, তিনি প্রস্তাবিত পারিতোষিক প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। ধন্য অর্থ।
সমাপ্ত।
- অগ্রহায়ণ মাসের সংখ্যা
"ছবি”
যন্ত্রস্থ।