পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ . . স্বস্থ ও সবল হইয় আছি, স্বৰ্য্যই সেই সকলের মুখ্য ও গৌণরূপে একমাত্র কারণ। তবে বোম স্বৰ্য্য হইতে হয় নাই। উত। আদিকাল হতে বরাবর আছে। সূৰ্য্য আবির্ভাবের পূর্বে আবির্ভূত বস্থসকলের কারণ পরমাণু-সমষ্টিময়-তমোরূপে ছিল, প্রলয়ের পরে ও সেইভাবেই থাকিবে । উহ। আপাততঃ বাহা দৃষ্টিতে শূন্য হইলেও তেজঃ প্রভৃতি সকলের আধার। আধার ভিন্ন আধেয় স্বৰ্য্যাদি থাকিতে পারিত না । তাই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড ব্যাপী বিশাল ( যাহা অপেক্ষা বুতং আর দ্বিতীয় নাই ) ব্যোমই নিরাকার ব্রহ্মের প্রতিরূপ। ঐ বোমের মধ্যে অব্যক্ত আভ্যন্তরীণ তেজ অংশষ্ট সূর্য্যরূপে প্রকাশিত । আমরা পরম ব্রহ্ম বা পরমেশ্বরকে দেখিতে পাই না, তাহাকে অনন্তজ্ঞানময় ও তেজোময় বলিয়া জানি ও গায়ত্রীদ্বারা তাহার উপাসনা করি। উপাসকদিগের পরিতৃপ্তির জন্য সেই ব্রহ্মই তেজোময় স্বৰ্য্যরূপে আবিভূত। তাই গায়ত্রীর অর্থ ব্ৰহ্ম ও সূর্য্যে সমান-ভাবে প্রযুক্ত হয় । এই বোমে আদিকাল হইতে পার্থিব সকল বস্থর কারণ পরমাণু আছে। তাই উহাতে প্রাছভূত স্বৰ্য্যাদি-গ্ৰহাদিতে ও সেই সকল পরমাণু বিদ্যমান, ইহা আমরা অল্পমান করিতে পারি। তাই সূর্য্য হইতে আবিভূতি পৃথিবী ও উল্কাপিণ্ডে সেই সকল বস্তুর উপাদান ( stuff ) আমরা প্রায়ই প্রত্যক্ষ করিয়া থাকি। এই সৌরজগতে বোমতলে স্বতেজের শক্তিতে অবিরত বিঘূর্ণিত ভাস্কর হইতে পরি-দৃশ্যমান পৃথিবী, জল, তেজ ( বহ্নি, বিদ্যুৎ ) প্রভৃতি প্রায় সকল পদার্থই প্রাতৃভূত