[ So I ট্রণের উৎপত্তি ও অমাদিগের জীবন-ধারণে সূর্য্যের আশ্চৰ্য্য শক্তি )। সূর্য হইতে উত্তাপ, তেজ ও আলোকের সহিত বিদ্যুতের উপাদান ইলেক্ট্রণ সৰ্ব্বদা বাহির হইতেছে । সূর্য্যের বহির্ভাগে হাইড্রোজেন আছে, আর অন্যান্য অংশেও আমাদের দেহের অন্তরূপ প্রয়োজনীয় হাইড্রোজেন, ম্যাগ নেসিয়া, লৌহ প্রভৃতি ধাতুর গ্যাস ও অন্যান্য বিবিধপ্রয়োজনীয়-বস্তুর গ্যাস বাষ্পাদি আছে । স্বর্যাক্ট পুথিবীর আলোক ও উত্তাপের কারণ এবং ইহাক্ট জীবন-ধারক জল, রং, সৌন্দর্য ও আমাদিগের খাদ্য বুক্ষ-লতাদির পরিপোষক গ্যাস উৎপাদন করিতেছে । সূর্য্যই আমাদের জ্ঞানলাভ, দৃষ্টিশক্তি ও মস্তিষ্কের একমাত্র কারণ। এই সৌর জগতে তাত্মোৎপন্ন বিদ্যাং-শক্তির সাহায্যে সূৰ্য্য প্রায় সকল কাৰ্য্যই গৌণ ও মুখ্যভাবে করিতেছেন। এই সৌরজগতে সূর্যোর তেজঃ সমুদয় আকাশে ব্যক্ত ও অব্যক্ত ভাবে পরিব্যাপ্ত তাছে ৷ দেহমধ্যস্থিত আকাশে ও যে আছে তাহা বলা বাহুল্য । সেই দেহমধ্যস্থিত সাঙ্গ সৌরতেজষ্ট জীবগণের জীবন । সৃষ্টির পূর্বের্ণ সদসৎ-রূপে বর্ণিত সকলের আদি ও আধার নীহারিকাতমোময় তমোগুণপ্রধান নিরাকার বোমই ব্রহ্মের স্বরূপ উক্ত হইয়াছে। বেদে আছে তদৈক্ষত একোহহং বহুঃস্যাম । ব্রহ্মের ইচ্ছানুসারে সত্ত্ব, রজঃ, তমঃ এই তিন গুণ আবিভূত হইল। তেজঃ প্রকাশময় সত্ত্ব ; মরুং,—পদার্থ-সঞ্চালক কার্য্যময়,—রজঃ , ব্যোম,— ব্যক্ত-অব্যক্ত সকল বস্তুর আদি ও লয়ের স্থান,—তমঃ ।
পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।