1 כל বোম তমোগুণময়, অপর দুইটী গুণও আদিকাল হতে ব্যোমের নিকটে বরাবর ছিল, এখনও আছে,—প্রলয়ের পরেও থাকিবে । ব্রহ্মের ন্যায় ইহার অস্তিত্ব বেদাদি-শাস্ত্রে ও প্রমাণিত । “সদেব সৌমোদমগ্র আসীং একমেবাদ্বিতীয়ম” “আসীদিদং তমো ভূতম্” ( মন্ত ) ৷ ইত বোম ও ব্রহ্মে লক্ষিত। পরম ব্রহ্ম সৃষ্টির অভিপ্রায়ে সত্ত্বগুণময় তেজোরূপে সমুদয় দৃশ্যমান পার্থিব পদার্থের কারণ মৃৰ্য্য-নামে স্বয়ং আবিভূত হইলেন। মরুং বরাবর তাহার সন্নিধানে অব্যক্তভাবে ছিল, সূৰ্য্য প্রকাশিত হইলেক্ট মরুতের শক্তি ব্যক্ত হইল। তখন সূর্যা প্রবল মরুতের বলে স্বতেজে সর্বদ ঘূর্ণিত হইলে পৃথিবী প্রভৃতি অনেক গ্রহ সূৰ্য্য হইতে আবির্ভূত হইল। সেই সময়ে ইলেক্ট্রনও বাহির হইতে থাকিল। অসীম সৌরতেজে নীহারিকাগুলি জলরাশি রূপে পরিণত হইল । ইহাতে প্রমাণিত হইল যে তেজঃ, মরুং ও ব্যোম এই তিনটী মৌলিক পদার্থ। ক্ষিতি ও অপ ( পুথিবী ও জল ) তেজ ও মরুং হইতে ক্রমে আবিভূত স্বতরাং এই দুই পদার্থ বা ভূত মহাভূত-রূপে পরিণত হইলেও, তেজঃ মরুতের অন্তর্গত,—সত্ত্বাদি ত্রিগুণের মধ্যবর্তী পৃথক বস্তু নহে । পুথিবীতে সমুদয় জীব এই পঞ্চভূতময়, এই ত্রিগুণ হইতেই স্পষ্ট হইয়াছে। বৈদ্য শাস্ত্রে আছে সজীব-দেহ মাত্রই পিত্ত, বাত ও শ্লেষ্মার আধার। অব্যক্ত সত্ত্ব, রজঃ, তমোগুণের বা তেজঃ ( ও তজ্জনিত ক্ষিতি ও অপ, ), মরুং, ব্যোমাদি মহাভূতের পিত্ত, বায়, শ্লেষ্মাই স্থল বা ব্যক্ত পরিণাম ।
পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।