{ טאל ] সেই সময়ে ভীষণ বিপদ উপস্থিত হইয়াছিল। নিউমনিয়া রোগে আক্রান্ত হইয়া আমার জ্যেষ্ঠ পুত্রটা ভাটপাড়ায় মারা যায়। যদ্যপি প্রথম হইতেই ডাঃ শ্ৰীযুক্ত নীলরতন সরকার প্রভূতি বড় বড় ডাক্তারেরা তাহাকে অনেকদিন দেখিয়াছিলেন, তথাপি সে রক্ষা পায় নাই । এ বিপদের কিছুদিন পরে আমি ডাক্তার উইলসন সাহেবকে বলিয়াছিলাম এলোপ্যাথিক চিকিৎসা না করাইয়া যদি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করাইতাম তাহা হইলে, হয়ত আমার পুত্রটা রক্ষা পাইত ! তখন সাহেব একখানি বড় পুস্তক খুলিয়া পাঠ করিয়া বলেন যে এলোপ্যাথিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় শতকরা ৫০ট নিউমোনিয়৷ রোগী আরোগ্য লাভ করিয়াছে, ইহা ঐতিহাসিক সত্য । কিন্তু এক সময়ে আফ্রিকায় সৈন্যগণমধ্যে কলেরা ও নিউমোনিয়া রোগ হইয়াছিল। তাহাদিগকে চিকিৎসা করাষ্টবার সুবিধা হয় নাই । রোগীরা খোলা মাঠে রৌদ্র-বাতাসে পড়িয়াছিল। ক্রমে জানিতে পার। গেল যে তাহাদের মধ্যে প্রায় সকলেই অর্থাৎ শতকরা নবকৃষ্ট জন লোক উক্ত রোগ হইতে রক্ষা পাইয়া বাচিয়া ছিল । প্রমাণিত হইয়াছে যে একমাত্র সূর্য্যের কিরণই নিউমোনিয়া ও কলের প্রভৃতি কঠিন রোগের বীজাণু ধ্বংস করিয়া রোগীকে সুস্থ করে। খুব পীড়ার সময়ে আমার ৬ পুত্ৰ বুক হইতে তুলা ফেলিয়া দিতে, সকল জানালা খুলিয়া দিতে ও ঘরের বাহিরে ছাদে রৌদ্রে লক্টয়া যাইবার জন্য বিশেষ করিয়া বলিত, ডাক্তারের অমতে কাজ করিতে পারি নাই । সূৰ্য্যালোকে ও খোলা বাতাসে যাইলে সে যে সুস্থ হইতে
পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।