পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ >b ] এই দেহ পঞ্চভূতময় বলিয়া আমরা পার্থিব ও জলীয় বস্তুদ্বারা জীবন-পোষণ করি । জীবনপোষণের জন্য আমরা তথাদি সেবন করি । দুগ্ধের সার-অংশ, নবনীতের বিকার ঘৃত তেজঃ বলিয়া প্রসিদ্ধ। সূৰ্য্য, বিদ্যুৎ, বহ্নি, ঘৃত, শুক্র প্রভৃতি সকল বস্তুষ্ট তেজঃ । দুগ্ধ-সেবনে স্বদেহস্তিত তেজ বা জীবন শক্তিমান হয়। শৈশবে মাতার স্তন্ত্যত্নগ্ধ পান করি । তাহাতে মাতার তেজ বা বৈদ্যুতিক শক্তি পাষ্টয়া দিন দিন বলবান হই । সমানরূপপদার্থ হইতেই আমরা সমধিক শক্তি লাভ করি। তাই শিশুর পক্ষে মাতৃদুগ্ধ অতি উপকারী। তার পরই অন্যান্য পশুদিগের মধ্যে গো-দুগ্ধই অতি উপকারী। কারণ গাভীতে তেজঃ বা বৈদ্যুতিক শক্তি অধিক আছে । তাই গোছগ্ধ-পানে আমর সবল হই । বলা বাহুল্য, কেবল দুগ্ধপানেই দীর্ঘ জীবন লাভ করিতে পারি। গোমূত্রে ও গোবরেও বৈদ্যাতিক শক্তি আছে বলিয়া উহার ব্যবহারেও আমরা বিশেষ-রূপে উপকৃত হই । গোমৃত্র বা চোনার সেকদ্বারা প্লীহা-যকৃৎ আরোগা লাভ করে। যাহার যেরূপ শরীর ও যে দেশে জন্ম ও যেরূপ জলবায়ুতে অভ্যস্ত, তদনুসারে যদি সেই ব্যক্তি প্রত্যহ একনিয়মে আহারাদি করে, তাহাদ্বারা দেহস্থিত বৈদ্যুতিক শক্তির সামঞ্জস্য থাকে, একদিনের জন্যও তাহার পীড়া হয় না। পীড়া হইলে বুঝিতে হইবে যে আহারাদির অনিয়মে তেজঃ মন্দ হইয়াছে ৷ দেহস্থিত তেজঃ বা বিদ্যুৎ দুর্বলল হইলে বায়ু শ্লেষ্মার প্রকোপ হয়। তাহাতে ক্রমে আহারে