[ २० ] লাগিলে ), সেখানেই আকাশে প্রবল বায়ু বহিতে থাকে। যেখানে জলরাশি বা সমুদ্র সেখানেই মহাবায়ুর আবির্ভাব । অর্থাৎ পাচটি মহাভূতই বিশেষ ঘনিষ্ট ভাবে সম্বদ্ধ,—পরস্পর পরস্পরের সাহায্য করিয়া থাকে। তেজের শক্তি বা তরঙ্গে পরিচালিত হইয়৷ দেহমধ্যে মরুং ( বায় ) আমাদিগের ভূক্তখাদ্যদ্রব্য হইতে সার রক্তাদি পোষণ করে, এবং উক্ত বায়ুষ্ট ( শাস্ত্রে প্রাণ, অপান, সমান, উদান, ব্যান নামে প্রসিদ্ধ ) আহারাদির সার গ্রহণ-পূর্বক রক্তাদিতে পরিণমন ও মল মূত্ৰঅংশকে পৃথক করিয়া জীবনী-শক্তি বুদ্ধি করে । বাহিরে যেরূপ ষ্টমের ( বহ্নি-বিদ্যুৎ-জলাদি-সন্তত বাম্পের ) তেজে কল পরিচালিত হইয়া বাষ্পীয়যান-বাহনাদি প্রায় প্রয়োজনীয় সকল কার্য সম্পাদন করে, সেইরূপ দেহ-মধ্যে সৌরতেজ ও আত্মোৎপন্ন বিদ্যুৎ-শক্তির সহিত মিলিত হইয়া স্বীয় তরঙ্গ বা শক্তিতে প্রাণাদি বায়ু-সকলকে কাৰ্য্য করাষ্টতেছে। এই বিজ্ঞানটি আর্য্য ঋষি গণের বিশেষ পরিজ্ঞাত ছিল । তাই গায়ত্রীর স্মর্থ –এই সৰ্ব্বলোক-ব্যাপ্ত জগতের প্রকাশক আমাদিগের হিতকারী বলিয়। প্রার্থনীয় সবিতা,—জগতের সৃষ্টিকৰ্ত্তা বা প্রকাশক পরমব্রহ্ম ব। সূর্য্যের তেজ যেন আমরা ধ্যান করি । যিনি আমাদিগের বুদ্ধিকে কাৰ্য্য করিতে নিযুক্ত করিতেছেন। সবিতার অর্থ পরমব্রহ্ম ও সূর্য্য। কারণ সূর্য্যের উদয়ে তমোভাব হইতে জগতের প্রকাশ বা আবির্ভাব। তাই গায়ত্রী দ্বারা সূর্যোর ধ্যান অর্থও অযুক্তি-যুক্ত নহে । এই সৌরজগতে সূর্য্যের তেজষ্ট সৰ্ব্ব-প্রধান তেজঃ । ইলেকট্রন ( বিদ্যুতের সূক্ষ্ম উপাদান ) ও
পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।