[ २४ ] অন্যান্য যাবতীয় তেজ ও অগ্নি এই সূৰ্য্য তেজ হইতে আবিভূত। সূৰ্য্যকান্ত-মণির উপরে সূৰ্য্যতেজ পড়িলে নিকটে তুলা বা সোল। থাকিলে উহা প্রজ্বলিত হইয়া অগ্নি উৎপাদন করে । ইহা পূর্বেরই উক্ত হইয়াছে যে ঘূর্ণায়মান সূর্য্যের তেজ হইতে পৃথিবী আবির্ভাবের পরেই বিড়াতের কারণ ইলেক্ট্রন গুলি আবিভূত হইয়৷ উদ্ধতন আকাশ ব্যাপিয়া পৃথিবীর সন্নিহিত আকাশ ও পার্থিব-জীব-দেহ মধ্যস্ত আকাশে সৰ্ব্বদা বিরাজমান আছে । সহস্রকিরণ-রবির কিরণ যাহা আকাশ দিয়া পুথিবীতে আসিতেছে, তাহার সহিত পুথিবী-সন্নিহিত আকাশব্যাপ্ত ইলেক্ট্রনের যে কিছু সংযোগ হইতেছে তাঙ্গ বল বাহুল্য । এইজন্য Hertzian waves প্রভূতি সূর্য্যের প্রায় সকল কৃত্রিম কিরণ ইলেকট্রন দ্বার। অনুপ্রাণিত হইয়। অধিক তরঙ্গ বা গতি শক্তি প্রকাশ করে। এক কথায় বলিতে গেলে সৌরতেজষ্ট কখনও বিদ্যুৎরূপে কখনও বা বৈশ্বানররূপে সব জীবের মধ্যে আন্নাদি পচন ক্রিয়া দ্বারা আমাদের জীবনী-শক্তি বৃদ্ধি করেন। যেখানে আকাশ সেক্ট খানেই বায়ু, ও সেইস্থানেই অব্যক্ত ভাবে সৌরতেজ ও ইলেক্ট্রন আছে । সমুদয় তেজের আদি কারণ পরমব্রহ্ম অদৃষ্ট, আর দৃষ্ট সবিতাদেব । তাহা হইতেই অক্সিজেন প্রভৃতি গ্যাস আবিভূত হইয়৷ দেহমধ্যে বৰ্ত্তমান আছে । ঐ গ্যাস সকলের অব্যক্তভাবে সংযোজক সাঙ্গ-সৌরতেজকে আমরা এই জড়দেহমধ্যে চৈতন্ত্যময় জীবনরূপে লাভ করিয়াছি। অতএব সৌরতেজই
পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।