[ २२ ] স্বায়োৎপন্ন ইলেক্ট্রন শক্তির সহিত দেহমধ্যে জীবনের কার্য্য করিতেছে ইহা প্রমাণিত হইল । 8 এক্ষণে প্রসঙ্গক্রমে সৌরতেজঃ-সম্ভত বিড়াতের বিষয় এখানে কিছু বলা অসঙ্গত হইবেন । যেরূপ দুগ্ধ মন্থন করিলে তাহার সার হইতে ননী ক্রমে ঘূত ( তেজঃ ) উৎপন্ন হয়, সেইরূপ সৰ্ব্বদা ইলেক্ট্ৰনময় আকাশ মন্থন করিয়া তাহা হইতে বিদ্যুৎ-সংগ্ৰহ-পূনর্বক প্রথমে তাহ। তাম্রপাত্রাদিতে ধরিয়া ধাতুময় তার দিয়া সেই শক্তি সঞ্চালন করিয়া আলোক বাতাস ও অন্যান্স প্রয়োজনীয় কার্য্যে প্রযক্ত হইতেছে । বিদ্যুৎউৎপাদকযন্ত্র দেখিলেষ্ট আকাশমন্তনের ব্যাপার বুঝিতে পারা যায়। একটি বড় চাকা বহিতজে অথবা স্বাভাবিক বা কৃত্রিম প্রস্রবণের শক্তিতে বন বন করিয়া আকাশে সৰ্ব্বদা ঘুরিয়া থাকে, ও এইরূপে আকাশস্থিত ইলেকট্রনগুলি সংগৃহীত হইয়া বিদ্যাৎরাপে পরিণত হইলে উহা তাম্রপাত্রে নীত হয়। পূর্বেই বলা হইয়াছে, প্রায় সমুদয় আকাশে সৌরতেজও তদ্যুৎপন্ন ইলেক্ট্রন ও বায় বিদ্যমান আছে । তেজ: মরুং ও ব্যোম বা এককথায় পৌরাণিক সত্ত্ব-রজঃ-তমোগুণদ্বারা সৌরজগতের প্রায় সকলকার্যা সম্পাদিত হইতেছে । আমাদের দেহস্থিত ইন্দ্রিয়াদি-দ্বারসকল আকাশময় । এবং ঐ আকাশে অব্যক্ত §
পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।