পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২৩ ] ভাবে অবস্থিত সাঙ্গ সৌরতেজদ্বারা বায়ু পরিচালিত হইয়া ভূক্ত খাদ্যাদি হইতে রক্তাদি সম্পাদন পূর্বক দেহপোষণ করে। শিরায় শিরায় ধমনীতে ধমনীতে যে রক্ত বহিতেছে, দেহমধ্যস্থিত বায়ু অব্যক্ত সাঙ্গসৌরতেজদ্বারা চালিত হইয়া এ সকল কাৰ্য্য করাইতেছে । মধ্যে মধ্যে আমরা বর্ষ বা শরৎকালে মেঘ হইলে আকাশে বিদ্যুৎ দেখিতে পাই । কেহ কেহ বলেন যে যদি আকাশে সর্বদা বিদ্যুৎ থাকে, তাহা হইলে মেঘ ন হইলে তাহ দেখা যায় না কেন ? মহাভূত আকাশে যাহাকে আমরা বাহিরে শুন্যময় অনুভব করিতেছি, ( ইংরাজীতে ঈথার বলিলে যাহার স্পষ্ট অর্থ হয় না, কারণ ইহাক্ট বোম বা আকাশ, যাহার মধ্যে তেজঃ ও মরুৎ অদৃশু বা অব্যক্তভাবে সর্বদ। বিদ্যমান, ) কোন দৃশ্যপদার্থরূপে আবির্ভূত হইয়া যখন দুইটী মেঘ খুব নিকটবৰ্ত্তী হয়, তখন উভয়ের ঘর্ষণে বা সবেগসংযোগে আকাশস্থ অব্যক্ত ইলেক্ট্রন বিদ্যুৎরূপে প্রকাশিত হয় । যেরূপ কোন লোককে ভূতে পাইলে ঐ ভূতাবিষ্ট লোকের মুখদ্বারাই ভূত কথা বলিয়া থাকে, শূন্য বায়ুরূপী ভূতের আকার না থাকায় মুখে কিছু বলিতে পারে না, সেইরূপ শুন্য আকাশে সৰ্ব্বদা তেজঃ-শক্তি অব্যক্তভাবে থাকিলেও কোন দুষ্ট আধার ভিন্ন লোকচক্ষে সে তেজঃ পরিদৃষ্ট হয় না। আমরা মেঘ দেখিতে পাই, তাই তাহাতে বিদ্যুৎও দেখিতে পাই । যখন আকাশ দেখিতে পাই না, তখন সেখানে বিদ্যুৎ কিরূপে দেখিতে পাইব ? মহাভূতেরাও ভূতের ন্যায় কোন আধারে