[ २8 ] স্বদেহস্থিত তেজঃ বা শক্তি প্রদর্শন করে । আকাশের ন্যায় এত বৃহৎ পদার্থ ত্ৰিজগতে আর দ্বিতীয় নাই । পুথিবীর সন্নিহিত তাহার কোন অংশে স্থিত ইলেক্ট্রনগুলি কৌশলে বিদ্যুৎরূপে পরিণত হয়। মেঘরূপ আধারে বিদ্যুৎ প্রকাশিত হইলে আমরা তাহা দেখিতে পাই । দেহাকাশস্থিত সৌর তেজ ও বিদ্যুৎ অতি সূক্ষ্ম, পরমাণু অপেক্ষা ও সূক্ষ্মতর। কেবল কাৰ্য্য দেখিয়া আমরা তাহ অনুভব করি । এই সৌর জগতে সকলজীবস্মৃষ্টির মূলকারণ সৌরতেজঃসস্তুত ইলেক্ট্রন। উহ্যদ্বারা অনুপ্রাণিত হইয়৷ দেহমধ্য হইতে আবিভূত শক্তি ( তেজঃ ) জীবস্যষ্টি করে এবং সেই একরূপ নিয়মে পরিচালিত হইয়া পশু পক্ষীকীটপতঙ্গ প্রভৃতি ক্ষুদ্রজীবাদিরও স্বদেহস্থিত তেজঃ গর্ভাশয়ে প্রবিষ্ট হইয়া সজাতীয় জীব সকলের কারণ হয় । দিন দিন উক্ত তেজঃ শোণিতের সহিত গর্ভাশয়ে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইলে যথাসময়ে সৌরতেজঃদ্বারা অক্সিজেন প্রভৃতি বাষ্পের একত্র সংযোজনে উহা অচিন্তনীয় উপায়ে বা পরমেশ্বরের ইচ্ছায় চৈতন্যময় বা প্রাণময় জীবরূপে পরিণত হইয়া থাকে। এই জড় জীবদেহে অক্সিজেন প্রভৃতি বাম্পের সংযোজন না হইলে চৈতন্য আসিতে পারিত না । এবং সৌর তেজঃ স্বীয়োৎপন্ন ইলেক্ট্রন শক্তিতে বাস্পাদিসংযোজন করিয়া দিয়াছে বলিয়৷ সৌরতেজষ্ট জীবন জানিবে। সৌরতেজ ও ইলেকট্রন জীবনপোষণের কারণ পূর্বাচার্য্যগণও বিশ্বেযুরুপে উপলব্ধি করিয়া প্রথমে গায়ত্রী দ্বারা সূর্যের
পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।