[ २¢ ] উপাসনার ব্যবস্থা করিয়া গিয়াছেন। বিদ্যুৎশক্তি ও যে আমাদের জীবনপোষণের কারণ ইহা বুঝিয়া দেহমধ্যে যেরূপে বিদ্যুৎশক্তি সুরক্ষিত হয় তাহার উপায় করিয়া গিয়াছেন। সর্ববর্ণের অভু্যদয়প্রার্থী ব্রাহ্মণের প্রতিদিন প্রাতঃকালে চকচকে তাম্র-কোশা-কুশি তাম্রকুণ্ডু তাম্র-টাটে পুষ্প জলাদি রাখিয়া পূজাদি করেন। এইরূপ ধৰ্ম্মকার্য্যে প্রাত; মধ্যাহ্ন ও সায়াহকালে তাম্রপাত্র অনেকক্ষণ ব্যবহৃত হয় । আকাশ হইতে বিদ্যুৎ সংগৃহীত হইলে প্রথমেই তাম্র তারদ্বারা বিদ্যুৎ নানাস্থানে নীত হয়, ইহা পূর্বেই উল্লিখিত হইয়াছে। তাম্রষ্ট বিছাতের শক্তিচালক আধার। তাম্রপাত্র ব্যবহারে দেহস্থিত বিদ্যুৎ সুপরিচালিত হয়। বিদ্যুৎ-শক্তি চালনার জন্য আর্য্যগণ পূজ তপণাদির ব্যবস্থা তাম্রপাত্রে করিয়া গিয়াছেন । গণ্ডার-ব্যাঘ্র-প্রভূতি জন্তুদিগের স্বাভাবিক বৈদ্যুতিক শক্তি অধিক বলিয়া গণ্ডারের চৰ্ম্মে তপণের বিধি আছে । তুৰ্ব্বল বালকের বলবুদ্ধির জন্য বাঘের নখ ধারণ করিতে দেওয়া হয় । এই সকল উদাহরণদ্বারা স্পষ্টই প্রমাণিত হইতেছে যে সৌরতেজঃ স্বকীয়োৎপন্ন বিদ্যুৎ-শক্তির সহিত আমাদিগের জীবনের কার্য্য করে। বিদ্যুৎ-শক্তি কমিয়া গেলে মানুষ তুর্বল হয়, ক্রমে অকালে কালগ্রাসে পতিত হয়। গ্রামোফোন ও ব্যোমের (বিদ্যুৎ-বায়ুযুক্ত আকাশ) সাহায্যে মোমের আধারে ( রেকর্ড ) গানাদি শব্দের ফটো তুলিয়া রাখিয়া যথাসময়ে যন্ত্রসাহায্যে সেই সকল শব্দাদি পুনরুচ্চারিত হইয়া থাকে। ফনোগ্রাফে যিনি শব্দাদির ফটো তোলাইয়াছেন,
পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।