[ ২৯ ] কিরূপে শীঘ্র নষ্ট না হয় তাহার উপায় করা ও আর অসম্ভব হবেন । মানুষ খুব পীড়িত হইলে দেহস্থ অকৃত্রিম অক্সিজেন বাষ্প দুৰ্বল ও দূষিত হইয় পড়িলে কৃত্ৰিম অক্সিজেন বাষ্পপ্রয়োগে জীবনীশক্তি রক্ষণের চেষ্টা এখনও ডাক্তারেরা করিয়া থাকেন সত্য। কিন্তু কেবল অক্সিজেন বাষ্পপ্রয়োগে মানুষের জীবনরক্ষা কিরূপে হইবে ? কারবন (Carbon ) নাইট্রোজেন (Nitreogen) of Hosa (Oxygen) *forgia (hydrogen) প্রভৃতি বাষ্পসকলের স্বহ্মপরমাণু সাঙ্গ সৌরতেজঃ অর্থাৎ দেহাকাশস্থিত বিদ্যুৎশক্তিযুক্ত অব্যক্তসৌরতেজের তরঙ্গে বা শক্তিতে বাম্পগুলি সংযুক্ত হইয়া জীবনরূপে পরিণত হয়। তেজঃ চলিয়া গেলে অক্সিজেন বাষ্পগুলি বিযুক্ত হইয়া প্রাণধৰ্ম্মশূন্য হয়। তখন জীব মরিয়া যায়। তাই অক্সিজেন প্রভৃতি বাপ সকলের একমাত্র সংযোজক প্রাণধৰ্ম্মের প্রবর্তৃক বা কারণ সাঙ্গ সৌরতেজঃ জীবন, ইহা প্রমাণিত হইল । যেরূপ স্বর্ণ বা লৌহ উত্তাপে দ্রবীভূত না হইলে, তাহা হইতে কোন বস্তু প্রস্তুত হইতে পারেনা, সেরূপ দেহস্থ বাষ্পগুলিও সৌরতেজের উত্তাপে এক না হইলে দেহ প্রাণময় হয় না। কেন এক হইল, ইহার সূক্ষ্মকারণ তেজঃ তাত ন বুঝিতে পারিয়া, বাহিরে অদৃশ্য বায়ুর মত বাষ্পগুলি প্রাণবায়ু বলিয়া স্থিরীকৃত হইয়াছে। বাস্তবিক তেজই জীবন, বাষ্পগুলি তাহার উপাদানমাত্র। গীতায় আছে “অহং বৈশ্বানরে ভূত্ব প্রাণিনাং দেহমাশ্রিতঃ প্রাণাপান সমাযুক্ত: পচাম্যন্নং চতুৰ্বিধৰ্ম। এই উল্লিখিত বৈশ্বানরই বেদান্তপ্রতিপাদিত তৈজস আত্মা, আমাদের মতে সবিদ্যাং
পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৪০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।