[ ৩১ ] বুলাইতে স্বীয় শক্তি প্রয়োগে বালককে নিরাময় করে। যে কোন কারণে বালকদিগের দেহস্থ তেজঃ হীনশক্তি হইলে তাতার অসুস্থ হয়, অন্তের নিকটে সেই শক্তি পাইয়া আবার স্তস্থ ও সবল হইয় উঠে । সমুদয় জীবগণের সন্তানাদি জন্মের একমাত্র কারণ দেহনির্গত শক্তি বা তেজঃ । উহা সৌরতেজঃসস্তুত দেহাভ্যন্তররস্ত বিদ্যুতের শক্তিতে আবিভূতি। উহা বিদ্যুতের ন্যায় তইটী বস্তুর সংঘর্ষণে উৎপন্ন বলিয়া উহার নাম তেজঃ । ঐ তেজের অপব্যবহারে সন্তানাদি হয় না, হইলে ক্ষীণজীবী বা অল্পজীবী হয়। কোন পুণ্যব্ৰতাদিদিবসে ও জন্মতিথিতে গরম জলে স্নান নিষিদ্ধ। কারণ কৃত্রিম গরমজলে দেহের তেজঃ বিকৃত হয় । পুণ্য পপর্বদিনে ও জন্মতিথিতে তাহা করা উচিত নহে। দেহস্থ তেজঃ বা বিদ্যুৎশক্তি সবল রাখিবার জন্য মস্তকে শিখ রাখিবার বা পাগড়ী ও টুপি পরিবার ব্যবস্থা আছে। মস্তিষ্কই বিছ্যতের প্রধান স্থান। সেজন্য বিদ্যুতের পোষণ করা বৰ্ত্তব্য স্বাভাবিক নিয়মে প্রত্যহ স্নান ও মিতাহারে শরীর ও মন সুস্থ থাকিলেষ্ট জীবন সবল থাকে। কৃত্রিম উপায়ে তাহ তুৰ্ব্বল ও নষ্ট হয় । সেইজন্তা রোগ হইলে সুবিজ্ঞচিকিৎসকদ্বারা রোগনির্ণয় করাইয়া ঔষধের ব্যবস্থা করা উচিত। যতদূর সম্ভব অল্প পরিমাণে ঔষধ সেবন করিবে । চিকিৎসকের উপদেশ অনুসারে স্বভাবের উপর নির্ভর করিয়া থাকিলে রোগী শীঘ্র সুস্থ হয়। আনাড়ী চিকিৎসকের ব্যবস্থায় অধিক ঔষধ সেবন
পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।