দেহে আসিয়া অধিষ্ঠান করেন। সেই সময়েই বুদ্ধিপ্রবৃত্তিসকল ক্রমে ক্রমে হইতে থাকে । সেই ভ্রণ যথাকালে শিশুরূপে ভূমিষ্ট হইলে কাদে। মুখের মধ্যে মধুদিলে খায়। খাবার জন্য র্কাদিলে মাতার স্তন্য দুগ্ধ খাইয়া চুপ করে। ঐ বালক ক্রমে দিন দিন যত বড় হয়, ভয় পায়, হাস্থ্য করে, পরে কথা কহিতে আরম্ভ করে । এবং ক্রমে ক্রমে বুঝিতে ও চিন্তা করিতে সমর্থ হয় । জীবন হইলেক্ট তাবা ক্রকারণে বা পরমেশ্বরের ইচ্ছায় অন্যান্তা সকল ভাবই আপনা-আপনি ( instinct ) দেহমধ্যে আর্বিভূত হয়। ইন্দ্ৰিয়সকল ও ক্রমে নিজ নিজ কার্যো প্রবৃত্ত হয় । ১১ট ইন্দ্রিয়,-- চক্ষু, কণ, নাসিক, জিঙ্গব, ত্বক এই পাচটা জ্ঞানেন্দ্রিয় ; বাক্, পাণি, পাদ, পায় ও উপস্ত পাচটা কৰ্ম্মেন্দ্ৰিয় ও মন অন্তরিন্দ্ৰিয় । বুদ্ধি, অহঙ্কার ও চিত্ত উক্ত মনের অবস্থান্তরমাত্র । সঙ্কল্পবিকল্পাত্মক ঠান্তরিদিয় মন, নিশ্চয়াত্মক মন বৃদ্ধি বা মহন্তই, বোধাত্মক মন চিত্ত, অঙ্গ-ভাববোধক অভিমানাত্মক মন অহঙ্কার । অন্তরিদ্রিয়-মনদ্বার। পরিচালিত হইয়। ইন্দ্রিয় সকল স্ব স্ব কার্যা করে । জীবন হওয়ার পর দেহায়তনের বুদ্ধির সহিত ইন্দ্রিয়শক্তি বুদ্ধি প্রাপ্ত হইলে এব: ক্রমে ক্রমে স্ব স্ব কার্যা করিতে থাকিলে জীবাত্মা বা জীবনযুক্ত দেঙ্গী সকল কার্য্যের ফল ভোগ করেন। অতএব অক্সিজেন প্রভূতি বাস্পসকলের একমাত্র-একত্র-সংযোজক সাঙ্গ ( সবিদ্যুৎ ) সৌরতেজক্ট জীবন প্রমাণিত হইল । এক্ষণে জীবনবিষয়ে পাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিক সাহেব প্রবরদিগের
পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।