[ 8७ ] অভ্যস্ত হইয়াছিল। এবং এইরূপে হঠাৎ আর অন্য কোন পরিবর্তন না হওয়ায় ঐ ক্ষুদ্র গুল্ম হইতে আরম্ভ করিয়া ক্রমে ক্রমে স্থলে নানাজাতীয় জীবন্ত পদার্থের আবির্ভাব হইতে লাগিল । সমুদ্রের জলেই জীবন্ত পদার্থের প্রথম উৎপত্তি, ইহা কোনও কোনও প্রতীচ্য পণ্ডিতদিগের মত। আবার কয়েকজন প্রাতীচ্য পণ্ডিতেরা বলেন যে পুথিবীর উত্তাপ অবস্থার সময়েই জীববীজের প্রথম উৎপত্তি হইয়াছিল। আর কেহ কেহ অনুমান করেন যে যেরূপ উক্লাপিণ্ড সৌরগ্রহ হইতে আবিভূতি, সেইরূপ জীবনও উল্কাদির মত সৌরগ্রহ হইতেই প্রথম আবিভূতি হইয়াছে। যাহা হউক সৌরতেজই জীবন যাহা আমরা পুবেল বলিয়াছি, প্রতীচাপণ্ডিতদিগের মতেও তাঁহাই একরূপ সমর্থিত হইল । অক্সিজেন প্রভৃতি বাষ্পসকল, বিদ্যুতের কারণ ইলেক্ট্রনগুলি, তেজঃ, আলোক, গতিশক্তিও তরঙ্গসমুদয়, প্রথমে বাষ্পরূপে স্থিত সমুদয় তৈজসপদার্থ, স্বর্ণ, লোহ, তাম্র প্রভৃতি ধাতু সকল উপাদান বস্তু--এই সকলষ্ট বোমের আভ্যন্তরীণ তেজোময় সূৰ্য্য হইতে সূক্ষ্ম ও অব্যক্তভাবে আবিভূত বা প্রকাশিত হইয়া ক্রমে ক্রমে বিভিন্নপদার্থরূপে পরিণত হইয়াছে। ফলতঃ এই সৌরজগতে সূৰ্য্যই সকল পদার্থের একমাত্র আবিষ্কৰ্ত্ত বা মুখ্য-কারণ। ধাতু-সকল তেজ হইতে উৎপন্ন বলিয়৷ থালা, ঘটি, বাটি প্রভৃতি ধাতুময় দ্রব্যসকল এখনও তৈজসপাত্র বলিয়া অভিহিত হয়।
পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৫৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।