[ 8१ ] সূর্যোর আকার ও গঠন সম্বন্ধে প্রতীচ্য পণ্ডিতগণ এইরূপ মত প্রকাশ করেন। সূর্য্যদেহ আয়তনে প্রায় ১০দশ লক্ষাধিক ভূলোকের সমান। তবে ঘন (নিরেট) ভূপিণ্ডে যে পরিমাণ পদাৰ্থ আছে সূৰ্য্যদেহে সে পরিমাণ পদাৰ্থ নাই । সুর্য্যদেহ পিগুটী একটী ফাপা বৃহৎকায় তেজোময় বাষ্পগোলক মাত্র। ভূমণ্ডলের উপরে যেরূপ বায়ুমণ্ডল আছে, স্বৰ্য্যদেহের উপরে সেইরূপ বায়ুমণ্ডল আছে। তবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মত স্বৰ্য্যের বায়ুমণ্ডল নহে। সূর্য্যের বায়ুমণ্ডল নানাবিধ হালকা গ্যাস বাম্পের স্তর মাত্র পৃথিবীতে আমরা যে সকল পদার্থ উপভোগ করিতেছি ও প্রত্যক্ষ করিতেছি সেই সকল পদার্থের অতিসূক্ষ্ম পরমাণু বাষ্পরূপে সূর্যে ও সৌরগ্রহে বিরাজমান। অবিশ্রাস্ত বর্ণনাতীত দ্রুতবেগে চক্রাকারে স্থৰ্য্য ঘুরিতেছে, ইহার (স্বর্য্যের ) কেন্দ্রভাগে বা কাঠামোতে পরমাণু হইতে ইলেকট্রনগুলি সর্বদা সংগৃহীত হইতেছে, আবার সেই বিছাতের কারণ ইলেকট্রনগুলি প্রতি সেকেণ্ডে প্রায় লক্ষবার স্বৰ্য্যকেন্দ্র হইতে খসিয়া বাহির হইয়া আসিতেছে। বলা বাহুলা দৃশ্যমান সকল বস্তুর বাষ্পাকারে উপাদান ও বহুল ইলেক্ট্রন পূঞ্জই সূৰ্য্যবিম্বের কেন্দ্র বা কাঠাম । সূৰ্য্য ও সৌরগ্রহাদির উৎপত্তির পূর্বে এই নীহারিকাময় আকাশে ইহাদের (সূৰ্য্যাদির) দেহ কেবল ইলেক্ট্রন (electron) ও প্রটন (proton) সমষ্টিময় ছিল। ইলেকট্রন ও প্রটন ঘনীভূত তেজঃশক্তি ভিন্ন আর কিছু নহে। পরমাণুমাত্রই প্রভূত তেজঃশক্তির আধার। সৰ্ব্বশক্তিময় পরমেশ্বরের ইচ্ছা ভিন্ন মানুষে স্বচেষ্টায় এ পর্য্যস্ত পরমাণুর সেই শক্তি আবিষ্কার ও
পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।