পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| 8ના ] করায়ত্ত করিতে পারে নাই । অনেক বিষয় মানুষের অজ্ঞাত থাকিলেও প্রকৃতির নিকটে তাহা অজ্ঞাত নাই । তাই সূর্যাগর্ভে এই তাণবিক শক্তি অনবরত তেজোরূপে বিচ্ছুরিত হইতেছে । এবং পরমাণু ধ্বংসজাত সেই তেজ বা শক্তিই স্তৰ্য্যের তেজ আলোক ও শক্তির মূল কারণ তাহাতে আর সন্দেহ নাই । সূৰ্য্য সম্বন্ধে প্রতীচ্য পণ্ডিতদিগের মত সংক্ষেপে বলিলাম । কিন্তু প্রাচ্য পণ্ডিতের সবিতাদেবকে পরমব্রহ্মের স্বরূপ গ্রহরাক্ত ও জীবনের জীবন ধারণোপযোগী পদার্থ সমূহ এবং সকল তেজং আলোক গতি ও শক্তির একমাত্র কারণ ও সর্ববরোগনাশক বলিয়া জানেন । এইজন্য গায়ত্রীদ্বারা তাহার সেক্ট বরেণ্য তেজকে নিত্য উপাসনা করিতে উপদেশ দিয়াছেন । এক্ষণে উপসংহারে আমাদের প্রাচীন উপনিষৎ হইতে এষ্ট প্রবন্ধের পোষক কয়েকটা স্থান উদ্ধত করিয়া পাঠকদিগকে উপহার দিব । অথ কবন্ধী কাতায়ণ উপেতা পপ্রচ্ছ, ভগব ! কুতো ত বা ইমাঃ প্রজাঃ প্রজায়ন্তে ইতি ৷ ৩ ৷ একবৎসর ব্রহ্মচর্য্য করিয়া কবন্ধী কাতায়ণ ভগবান পিপ্পলাদ মহৰ্ষির নিকটে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, ভগব ! এই উৎপত্তিশীল জীবগণ কোথা হইতে জন্মলাভ করে ? তস্মৈ স হোবাচ — প্রজাকামো হ প্রজাপতি: স তপোশুতপাত, স তপস্তপ্ত স মিথুন মুৎপাদয়তে রয়িঞ্চ প্রাণঞ্চেতি এতে মে বহুধা প্রজাঃ করিষ্যত ইতি । তিনি ( পিপ্পলাদ ) কবন্ধীকে বলিলেন, প্রজাপতি নিজ করণীয় প্রজা সৃষ্টি করিতে ইচ্ছুক