I to J যখন মনোরূপী দেবতা ( জীব ) নাড়ীগত চিত্তসংজ্ঞক সৌরতেজ দ্বারা সর্বতোভাবে অভিভূত হয়, অর্থাৎ তাহার পুনর্বতন সংস্কার-উদ্বোধের দ্বার নিরুদ্ধ হইয়া যায়, তখন ইন্দ্রিয় গণের সহিত মনের রশ্মি বা প্রকাশনশক্তি সমূহও উপসংহৃত হইয়া পড়ে। মন যে সময়ে কাষ্ঠগত অগ্নির হ্যায় সামান্য চেতন শক্তিরূপে সমস্ত শরীর ব্যাপিয়া অবস্থান করে, সে সময়ে জীব স্বযুপ্ত হয় । সৌরতেজ দ্বারা দর্শনপথ রুদ্ধ হওয়ায় এই মনোদেবতা ( জীব ) তখন কোন স্বপ্ন দর্শন করে না, তখন এই মনোমধ্যে এইরূপ সুখ অথাৎ ব্রহ্মানন্দ হইয়া থাকে। সেই আনন্দে বিভোর হইয়া জীব সকল বিষয়ে বোধশুন্য হইয়া পড়ে। আমরা পূর্দেষ্ট সৌরতেজ দ্বারা পাণুপ্রাণিত প্রাণের বিষয় বলিয়াছি । আজ উপনিষদ দ্বারা ও সেই মত সমর্থিত হইল। উপনিষৎ যেরূপ সকল কার্য্যের কারণরূপে ব্রহ্মের শক্তি উল্লেখ করিয়াছেন জড়বাদীদিগকেও পরে তাহাই স্বীকার করিতে হবে আমার বিশ্বাস । ৪৭ ৷ আদিতো। ব্রহ্ম ইত্যাদেশঃ । তস্তোপব্যাখ্যানমসদেবেদমগ্র আসীং । তৎ সদাসীৎ সমভবৎ—তদাণ্ড নিরবর্তৃত, তৎ সংবৎসরস্য মাত্রামশয়ত তন্নিরভিদ্যত ৷ তে আগুকপালে রজতঞ্চ সুবর্ণঞ্চাভবতাম্। সূর্য্যই ব্ৰহ্ম এই উপদেশ ছান্দোগ্যউপনিষদে আছে। পূর্বেল নামরূপ অপ্রকাশিত থাকায় কোন বস্তু ছিল না অথাৎ ইহা অসদৃভাবে ছিল, তাহা সূর্যোর আবির্ভাবে সদৃরূপে প্রকাশিত হইল। সেই সৎ অণ্ডরূপে পরিণত হইল। এক বৎসরকাল সেই অণ্ড থাকিয়া দুই ভাগে
পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।