[ do || প্রথমজ সত্যব্রহ্মই আদিত্য, যেটা এই মণ্ডলমধ্যবৰ্ত্তী পুরুষ, অর্থাৎ আদিত্যমগুলাধিষ্ঠিত আধিদৈবিক পুরুষ, আর চক্ষুর মধ্যবৰ্ত্তী অধ্যাত্ম পুরুষ। এই উভয় পুরুষই পরস্পর পরস্পরের আশ্রয়ে অবস্থিত,—আদিত্য পুরুষ রশ্মিদ্বারা ইহার সহিত সম্বদ্ধ, আর চাক্ষুষ পুরুষ প্রাণদ্বারা আদিত্য পুরুষের সহিত সম্বদ্ধ। এই দেহস্বামী পুরুষ ( জীব ) যে সময়ে উৎক্রমণ করিবে অথাৎ আসন্ন মৃত্যুকালে এই আদিতামণ্ডলকেই কেবল অর্থাৎ রশ্মিহীন নিম্প্রভ দেখিতে পায় অথাৎ স্বাভাবিক চক্ষে সূর্যাকে দর্শন করিতে পারে ; তখন সূর্যোর রশ্মিসমূহ আর তাহার নিকটে আইসে না অথৰ্ণং চক্ষুর পীড়াদায়ক হয় না। ( এরূপ ভাবে সূৰ্য্যদর্শন আসন্ন মৃতু্যসূচক অরিষ্ট বিশেষ ) পারলৌকিক হিত কার্যা করাইবার জন্য প্রসঙ্গক্রমে এখানে অরিষ্টের কথা উক্ত হইল। যেমন “দীপনির্বাপণে গন্ধঃ সুহৃদ বাক্যমরুন্ধতীম্। ন গুহ্বন্তি ন শুশ্বন্তি ন পশুন্তি গতানুষ । আয়ুঃ শেষ সময়ে লোকে প্রদীপ নিৰ্ব্বাণোখিত গন্ধ পায় না, বন্ধুর ভাল কথা শোনে না, অরুন্ধতী নক্ষত্র দেখিতে পায় না। সেইরূপ সূৰ্য্যমণ্ডলকে নিস্তেজ দর্শনও একটি অরিষ্ট, কহ৷ দেখিলে লোকে বুঝিবে যে তাহার মৃত্যুর আর বিলম্ব নাই। সূর্য্যের রশ্মিসমূহ এই চাক্ষুন্ন পুরুষের প্রতি অনুগ্রহ প্রকাশ করিবার জন্য স্বপ্রভূমণ্ডল পুরুষের কর্তব্য সম্পাদন করিতে পূর্বেল আসিত, এখন তাহার সেই কৰ্ত্তব্য করা শেষ হইয়াছে বলিয়াই যেন তাহার। তার ইহার দিকে আগমন করে না। অতএব এইরূপ পরস্পর উপকার্য্যোপকারক ভাব হইতে বুঝা
পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৭০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।