পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૭8 ] ইন্দ্রিয় প্রভৃতি ষোড়শ কলাময়, তুমি ১৫ দিন কিছু অন্নাদি আহার করিও না। তবে ইচ্ছা মত জলপান করিও, কারণ প্রাণ জলময়, জলপান না করিলে উহা বহির্গত হইবে । যখন ১৫ দিন অন্নাদি আহার না করিয়া পিতার আদেশমত প্রাণ রক্ষার্থ কেবল জলপান করিয়া আছেন তখন তাহার পিতা আসিয়া শ্বেতকেতুকে বেদাদিশাস্ত্রবিষয়ে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলিলেন, আমার কিছু মনে নাই। পিতার আদেশে পুনরায় অন্নাদি আহার করিলে মন সবল হইল, তখন তিনি পিতার জিজ্ঞাসিত বিষয়ের যথাযথ উত্তর দিতে পারিলেন। গীতায় আছে জ্যোতিষামপি তজ্জ্যোতিঃ (১৩শ) তিনি (ব্রহ্ম) সূর্যাদির জ্যোতিরও জ্যোতিঃ প্রকাশক । শ্বেতাশ্বতর উপনিষদে আছে “তস্য ভাস৷ সৰ্ব্বমিদং বিভাতি ।” তাহার দীপ্তিদ্বারা এই সকল বস্তু দীপ্তিময়। পূর্বেই উল্লিখিত হইয়াছে, প্রাণই আদিত্য । এই প্রাণরূপ আদিত্য সপ্তাশ্বযুক্ত রথে অর্থাৎ সপ্তজ্যোতি যুক্ত দেহরূপ রথে প্রকাশিত হন। এই প্রাণ হইতেষ্ট সূর্য্যের জ্যোতিঃ এবং সূর্য্য বাহাজগৎরূপ রথে স্বকীয় সপ্তকির রূপ অশ্বে বাহিত হইয়া আলোক প্রদান করেন । ( ছান্দোগ্য )। সূৰ্য্য যে আমাদের জীবন ব৷ জীবনের কারণ সেবিষয়ে অনেক কথা বলিয়াছি । চন্দ্র আমাদের জীবনরক্ষক বৃক্ষলতাদির জীবন, সেজন্য তদ্বিষয়ে ও কিছু বলিব । ধান্ত্যযবাদি হইতে প্রস্তুত যে অন্ন খাইয়া আমরা জীবন ধারণ করি চন্দ্রই সেই ধান্ত্যাদির জীবনদাতা। চন্দ্রের কিরণ প্রভাবে জোয়ার ভাট হওয়ায় সমুদ্রে প্রথমজাত গুল্মাদি তীরে আসিয়া ভূমিতেই জন্ম