[ 'ee ] গ্রহণ করিতে থাকে এবং সেই গুল্মাদি হইতে আরম্ভ করিয়া ধরার হ্যায় উত্তম আধারে বহুবিধ লতাগুল্ম বৃক্ষাদি উৎপন্ন হয়। পুরাণমতে সৰ্ব্বস্বষ্টির কৰ্ত্ত ব্ৰহ্মার মানস পুত্র অত্রি, তাহার পুত্র সমুদ্র, সমুদ্রের পুত্র সোম বা চন্দ্র। কোন পুরাণ মতে সমুদ্র মন্থন কালে চন্দ্র সমূদ্র হইতে আবির্ভূত হইয়াছিল। চন্দ্রের কিরণে পুথিবীতে অন্যান্ত ওষধি ( লতাগুল্মাদি ) উৎপন্ন হইতে লাগিল। এইজন্য চন্দ্রের একটি নাম ওষধিপতি । বৈজ্ঞানিক জ্যোতিষীরা বলেন যে চন্দ্র একটি জড়পিণ্ডময় গ্রহ। নিজের তেজঃ বা আলোক নাই, সূর্য্যের তেজে শক্তিমান হইয়া নৈশ অন্ধকার দূর করেন । যুরোপীয় পণ্ডিতদিগের মতে চন্দ্র একটি পুথিবীর উপগ্রহ বা পারিপাশ্বিক, সৰ্ব্বদা পুথিবীকে পরিভ্রমণ করে । পুথিবী হইতে চন্দ্রের দূরত্ব প্রায় দুষ্ট লক্ষ চল্লিশ হাজার মাইল । জ্যোতিষ্ক তারকামণ্ডল মধ্যে চন্দ্রই পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা সমীপবৰ্ত্তী। কেহ কেহ বলেন, এই পুথিবী হইতে চন্দ্র উৎপন্ন হইয়াছে। সমুদ্র যখন পৃথিবীর অংশ চন্দ্রও পৃথিবীর খুব সন্নিহিত জ্যোতিষ্ক, তখন পুথিবী হইতে চন্দ্রের উৎপত্তি কল্পনা নিতান্ত অসঙ্গত নহে । তেজোময় শরীরস্থিত উদানবায়ুর উৎক্রমণেষ্ট প্রাণবায়ু বহির্গত হয় পূর্দেষ্ট উক্ত হইয়াছে। ছান্দোগ্যে উৎক্রমণ-প্ৰণালী এইরূপ ভাবে লিখিত আছে— মৃত্যুকাল উপস্থিত হইলে পুরুষের বাগিন্দ্রিয় মনে লীন হয়, মন প্রাণে লয় প্রাপ্ত হয়, প্রাণ দৈহিক তেজে মিশিয়া যায়, সেই তেজ আত্মাতে বিলয় প্রাপ্ত হয়। অর্থাৎ মুমুঘু ব্যক্তির প্রথমে
পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৭৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।