[ وا وي ] বাক্য বন্ধ হয়, পরে মনের চিন্তাশক্তি নষ্ট হয়, তখন ও প্রাণের ক্রিয়া স্পন্দনাদি থাকে, তাহা বিলুপ্ত হইয়া গেলে দৈহিক তেজ আত্মাকে আশ্রয় করে। তখন ঐ আত্মা দেহ ত্যাগ করিয়া নির্গত হয়। ক্ষিতি, অপ, তেজঃ, মরুৎ ও ব্যোম এই পঞ্চভূতের স্তক্ষউপাদানে অনুপ্রাণিত প্রাণ, অপান প্রভৃতি পঞ্চপ্রাণ, একাদশ ইন্দ্রিয়ের সহিত মিলিত হইয়া সুষুম্নানাড়ীর দ্বারা উৰ্দ্ধগামী হয়, তেজোময় উদান-বায়ও তাহার অনুসরণ করে। ঐ উদান-বায়ু পাপ-পূন্য-কৰ্ম্মান্তসারে জীবকে যথাস্থানে লষ্টয়া যায়। অর্থাং শাস্ত্রবিহিতম্ভকৰ্ম্মানুসারে মুখস্বৰ্গ ভোগ করায়, আর পাপকার্যাফলে পশু, পক্ষী প্রভূতি যোনি পর্যান্তও প্রাপ্ত করায়। পাপ পুণা সমান থাকিলে উক্ত জীবকে মানুষ জন্মলাভ করাইয় মুখ-দুঃখ ভোগ করায় । মৃত্যুকালে জীবের চিত্ত যে বিষয়ে আসক্ত থাকে, জীব সেই চিত্তের ( বাসনার ) সহিত মুখ্য প্রাণকে প্রাপ্ত হয়, মুখ্য প্রাণ ও তেজোময় উদান-বায়ুর সাহায্যে জীবকে সঙ্কল্প ও স্বকাৰ্য্যান্তগত লোকে লষ্টয়া যায়। ষ্টহৈব স্বৰ্গনরকে এই সংসারেক্ট স্বগ ও নরক, উপনিষৎ ইহা প্রকাশ করিয়া দেখাইলেন। অতিরিক্ত পুণ্যের ফলে জীব জন্মাবধি চিরস্থখী হক্টতে পারে, আবার অতিরিক্ত পাপের ফলে পশুপক্ষী এমন কি তৃণলতাদি পর্য্যন্ত হইয়াও জন্মিতে পারে । মানুষীর গর্ভে মানুষ হইয়া থাকে, বানরীর গর্ভে বানর জন্মগ্রহণ করে ইহা সত্য, ( দুএক-ক্ষেত্রে পরমেশ্বরের ইচ্ছায় এ সত্যেরও অন্যথা ভাব দেখা যায় ) কিন্তু জীবাত্মা পাপপুণ্য-অনুসারে নানা জীবজন্তু হইয়া জন্মগ্রহণ করে । গীতার ১৫ দশের অষ্টম শ্লোক,—শরীরং
পাতা:জীবন (কৃষ্ণপদ বিদ্যারত্ন).djvu/৭৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।